—নিজস্ব চিত্র।
একেই বলে কপাল! দেড়শো টাকায় একগুচ্ছ লটারির টিকিট কিনে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কোটিপতি হয়ে গেলেন ডুয়ার্সের নাগরাকাটার এক মাংসবিক্রেতা। ভাগ্যের ভোলবদলে তিনি এখন রাতারাতি ‘এলাকার তারকা’!
নাগরাকাটা ব্লকের ছাড়টন্ডুর মেচপাড়া এলাকার গ্রামের বাসিন্দা শ্যাম শৈব্যর কপাল যে এ ভাবে খুলে যাবে, তা ভাবতেও পারেননি তাঁর মা। সংসারে ছেলে ছাড়া আর কেউ নেই মহিলার। কোটি টাকা ঘরে এলে কী করবেন, তা-ও ঠিক করে ফেলেছেন তিনি। বলেন, ‘‘টাকা হাতে এলে ছেলেকে আগে বাড়িঘর বানাতে বলব। তার পর ও বিয়ে করে সংসারি হোক— এটাই চাই!’’
লটারি জেতার খবরে শ্যামের বাড়িতে এখন ভিড় উপচে পড়ছে। অথচ ২৪ ঘণ্টা আগেও ছবিটা অন্য রকম ছিল। গ্রাসমোর চা বাগান এবং বস্তির হাটে হাটে ঘুরে মাংস বিক্রি করে সংসার চালান শ্যাম। অন্যান্য দিনের মতো বৃহস্পতিবারও মাংস বিক্রি করতে গিয়েছিলেন চা বাগানের হাটে। সে হাটেই লটারির টিকিট বিক্রি করছিলেন লুকসানের বাসিন্দা মানিক রায়। বিক্রিবাটা সেরে হাটের পড়ন্ত বেলায় দেড়শো টাকা দিয়ে মানিকের কাছ থেকে ২৫টি টিকিটের লটারির একটি সিরিজ কিনেছিলেন শ্যাম। ওই লটারির খেলা হয়েছিল রাত ৮টায়। তার আধ ঘণ্টার মধ্যে শ্যামের কাছে ফোন আসে। তাঁর কাটা টিকিটেই লটারির প্রথম পুরস্কার ১ কোটি টাকা উঠেছে।
খবর শুনে প্রায় হকচকিয়ে যান শ্যাম। খানিকটা ধাতস্থ হওয়ার পর লটারির টিকিট নিয়ে রেজাল্ট মিলিয়ে দেখেন, সত্যিই কোটি টাকা জিতেছেন। এর পর সোজা নাগরাকাটা থানায় গিয়ে টিকিট জমা দিয়ে নিয়ম অনুযায়ী আইনি কাজ সেরে নেন শ্যাম। আত্মীয়পরিজনদের অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসতে ভাসতে শ্যাম বলেন, ‘‘ভাবতেই পারিনি এমন হবে। বৃহস্পতিবার রাতেই খবর পাই আমার টিকিটে ফার্স্ট প্রাইজ উঠেছে। ওই রাতেই থানায় গিয়ে নিয়ম মেনে টিকিট জমা দিয়ে রাত ১১টায় বাড়ি ফিরেছি। কোটি টাকা হাতে এলে ব্যবসা বাড়াব। তার পর দেখি কী করা যায়।’’
শ্যামের টাকা জেতায় লাভ হয়েছে মানিকেরও। তাঁর কথায়, ‘‘৭-৮ বছর ধরে লটারির টিকিট বিক্রি করছি। মাঝে তা-ও ছেড়ে দিয়েছিলাম। দিন পনেরো হল আবার বিক্রিবাটা শুরু করেছি। বৃহস্পতিবার শ্যামবাবু দেড়শো টাকা দিয়ে ২৫ টিকিটের সিরিজ কিনেছিলেন। রাতেই নাগরাকাটার এজেন্ট মারফত খবর পাই আমার বিক্রি করা টিকিটে ফার্স্ট প্রাইজ উঠেছে। খুব আনন্দ হচ্ছে। তা ছাড়া, সাব-সেলার হিসাবে আমিও প্রায় ৫৬ হাজার টাকা পাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy