ফাইল চিত্র
২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পরে তৃণমূল গড়বেতার আমলাগোড়ায় লেনিন মূর্তি ভেঙে দিয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিল সিপিএম। ৯ বছর পরে সেই জায়গায় ফের লেনিন মূর্তি বসল এ বছরের শ্রমিক দিবসে। তবে মূর্তি ভেঙে দেওয়ার পুরনো অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের পাল্টা কটাক্ষ, করোনা পরিস্থিতির সুযোগে কার্যত চুপিসাড়ে লেনিন মূর্তি বসিয়েছে সিপিএম।
সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে ২২ হাজার টাকা খরচ করে কলকাতা থেকে মূর্তিটি আনা হয়েছিল। আগের মূর্তিটি যেখানে ছিল এটিও সেখানেই বসানো হয়েছে। জায়গাটির সংস্কার করা হলেও মূর্তিটি পলিথিনেই মোড়া ছিল। শুক্রবার মে দিবসের সকালে পলিথিন খোলা হয়। কয়েকজন সদস্য-সমর্থকের উপস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাতে মালা দেওয়া হয়। ছিলেন সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য তপন ঘোষ, সিটুর জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দিবাকর ভুঁইয়া প্রমুখ। দিবাকরের দাবি, ‘‘লেনিনের মূর্তি ভাঙলেও তার মতাদর্শকে ভাঙা যায় না। আমলাগোড়ায় পুনরায় মূর্তি প্রতিষ্ঠা সেটাই প্রমাণ করল।’’ কিন্তু নতুন মূর্তি বসাতে ৯ বছর সময় লাগল কেন? ওই সিটু নেতার বক্তব্য, ‘‘পরিস্থিতি অনুকূল ছিল না।’’
বাম আমলে ওই লেনিন মূর্তির পাদদেশেই ঘটা করে মে দিবস পালন করত বাম সংগঠনগুলি। মূর্তি ভাঙার পর থেকে সেখানে পয়লা মে-র কর্মসূচি বন্ধ হয়ে যায়। গড়বেতা জুড়েই সিপিএমের দলীয় কর্মসূচিতে ভাটা আসে। সিপিএমের অভিযোগ, ওই সময়ে তৃণমূলের সন্ত্রাস এমন জায়গায় গিয়েছিল যে মূর্তি ভাঙার পরে পুলিশে অভিযোগটুকুও করতে দেওয়া হয়নি। অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের গড়বেতা ১ ব্লক সভাপতি সেবাব্রত ঘোষ বলেন, ‘‘পালাবদলের পরে লেনিন মূর্তিতে জনরোষ আছড়ে পড়েছিল। ওই কাজে তৃণমূলের কেউ যুক্ত ছিল না। আর এতদিন মূর্তি না বসানোটা সিপিএমের ব্যর্থতা। আমরা তো কোনও সময়েই বাধা দিইনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy