শহিদ মিনার চত্বরে সিটুর মে দিবসের সমাবেশ। ছবি: সুমন বল্লভ
নতুন কর্মসংস্থানের পথ বন্ধ। শূন্য পদে নিয়োগ নেই। উল্টো দিকে বরং একের পর এক সরকারি সংস্থা গুটিয়ে দেওয়া হচ্ছে নয়তো বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে শ্রম দিবসে কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই সরকারের বিরুদ্ধেই সরব হল বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনগুলি।
মে দিবস উপলক্ষে বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকে বাৎসরিক সমাবেশ ছিল শহিদ মিনার ময়দানে। যার অদূরেই অনশন-অবস্থান চালাচ্ছেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নিয়োগ-প্রার্থীরা। মেধাতালিকায় নাম থাকলেও তাঁরা চাকরি পাননি কিন্তু দুর্নীতির পথে নিয়োগ হয়েছে, এই অভিযোগে টানা অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরি-প্রার্থীরা। শ্রমিক সমাবেশে বাম নেতারা অভিযোগ করেন, কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের আমলে শ্রমিক-কর্মচারীদের বিভিন্ন অধিকার কেড়ে নিয়ে তাঁদের যে অবস্থায় ঠেলে দেওয়া হয়েছে, এমন বিপন্ন অবস্থা আগে কখনও হয়নি। পিএফে সুদের হার গত ৪৪ বছরের মধ্যে এখনই সব চেয়ে কমানো হয়েছে, সামাজিক সুরক্ষার কবচও শ্রমিকদের জন্য বিপুল ভাবে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার উপরে বিমা, ব্যাঙ্ক, কয়লা থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রে বিলগ্নিকরণ ও বেসরকারিকরণ চলছে। প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর দমন করতে ইউএপিএ, এনএসএ-র মতো আইন কাজে লাগানো হচ্ছে।
রাজ্যের ক্ষেত্রেও সরকারি সংস্থা-সহ কল-কারখানা বন্ধ। গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে বলে শ্রমিক নেতাদের অভিযোগ। পুলিশ-প্রশাসনকে দিয়ে আন্দোলন দমন করা হচ্ছে এখানেও। সমাবেশে ছিলেন সিটুর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তপন সেন, রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু, এআইটিইউসি-র বিপ্লব ভট্ট, ইউটিইউসি-র সাধারণ সম্পাদক অশোক ঘোষ, টিইউসিসি-র প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায়, এআইসিসিটিউ-এর অতনু চক্রবর্তী, এআইইউটিইউসি-র স্বপন ঘোষ প্রমুখ। এই পরিস্থিতিতে ঐক্যবদ্ধ শ্রমিক আন্দোলনের কথাই বলেছেন তাঁরা।
সিটুর রাজ্য দফতর শ্রমিক ভবনে মে দিবস উপলক্ষে পতাকা তোলার অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। চাকরি-প্রার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে বিমানবাবুও বলেন, ‘‘মিথ্যা এবং দুর্নীতি, এই দুই ভিতের উপরে তৃণমূলের সরকার দাঁড়িয়ে আছে! যাঁরা এই সরকারের সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা বিভিন্ন রকম দুর্নীতির আশ্রয় নেবেন, এটা আর নতুন কী! মানুষের পাশে থেকে আন্দোলন জারি রাখতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy