Advertisement
E-Paper

‘সুদীপদার নেতৃত্বে আমার সমস্যা হয় না, হবেও না, জট দেখলেই চলে যাব নয়নাদির কাছে’, নতুন পোস্ট কুণালের, সঙ্গে কটাক্ষও

সুদীপ ‘অসুস্থ’ কি না তা নিয়ে কুণাল এবং নয়নার মধ্যে তরজা চলেছে। কুণালের বক্তব্য নিয়ে সুদীপ কোনও জবাব দেননি ঠিক কথা, তবে তাঁর বিধায়ক-সহধর্মিণী নয়না দাবি করেন, সুদীপ একদমই সুস্থ।

Kunal ghosh denies any tussel between him and sudip banerjee

(বাঁ দিকে) সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষ। —ফাইল ছবি।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫ ১৯:২৭
Share
Save

উত্তর কলকাতার তৃণমূলের পুরনো ‘ক্ষত’ নতুন করে প্রকাশ্যে এসেছিল গত রবিবার। সাংসদ তথা জেলা সভাপতি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে সমাজমাধ্যমে তাঁর আরোগ্য কামনা করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সুদীপের বিধায়ক-স্ত্রী নয়না পাল্টা দাবি করেছিলেন, সাংসদ সম্পূর্ণ সুস্থ। সেই আবহে আবার একটি পোস্ট করে কুণাল সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, সুদীপের নেতৃত্বে তাঁর কোনও সমস্যা হয় না। পোস্টে কুণাল এ-ও উল্লেখ করেছেন যে, সুদীপের সঙ্গে এখন তাঁর আর কোনও বিরোধ নেই।

যদিও ওই পোস্টে কুণাল মৃদু ‘খোঁচা’ও দিয়েছেন বলে শাসকদলের একাংশের অভিমত। রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক লিখেছেন, ‘সুদীপদা ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত সব পদে থাকুন, সুস্থ থাকুন।’ কুণাল আরও লিখেছেন, সুদীপ এবং তাঁর মধ্যে কোনও ‘বনামের’ সম্পর্ক নেই। তবে প্রকারান্তরে কুণাল এ-ও জানিয়েছেন যে, সব বিষয়ে তাঁরা একমত নন। কুণাল লিখেছেন, একমত না হওয়া মানেই ‘বনাম’ নয়। কোথাও কোনও ‘জট’ দেখলেই তিনি নয়নার দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন কুণাল। কুণালের পোস্টের এই শেষ লাইনটি সুদীপের বিধায়ক-স্ত্রী নয়নাকে করা ‘কটাক্ষ’ বলে অনেকে মনে করছেন। আবার অনেকে বলছেন, কুণালের পোস্টের প্রথম লাইনটি (সুদীপদা ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত সব পদে থাকুন) উত্তর কলকাতার প্রবীণ সাংসদকে কটাক্ষ করেই লেখা।

সুদীপ ‘অসুস্থ’ কি না, তা নিয়ে কুণাল এবং নয়নার মধ্যে তরজা চলেছিল। কুণালের বক্তব্য নিয়ে সুদীপ কোনও জবাব দেননি ঠিকই, তবে তাঁর বিধায়ক-সহধর্মিণী নয়না দাবি করেন, সুদীপ একদমই সুস্থ। কুণালের কাছে ‘ভুল তথ্য’ রয়েছে। কুণাল আবার পাল্টা জোর দিয়ে দাবি করেন, তিনি যখন বলেছেন সুদীপ অসুস্থ, তখন সুদীপ অসুস্থই! ভুল তথ্য রয়েছে নয়নার কাছে। কুণালের দাবি ছিল, সুদীপকে ইঞ্জেকশনও দিতে হচ্ছে। তবে পরের পোস্টে কুণাল জানিয়েছেন, তিনি আর সুদীপ একই পরিবারের দাদা-ভাই। প্রয়োজনে আবার তিনি নয়নার কাছে নাড়ু খেতে যাবেন। উল্লেখ্য, গত লোকসভা ভোটের আগেও কুণালকে ‘ঠান্ডা’ করতে মৌলালির বাড়িতে ডেকে তাঁকে ফিশফ্রাই এবং নারকেল নাড়ু খাইয়েছিলেন নয়না।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার পার্ক সার্কাসে কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার পার্টিতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে প্রতি বছর দেখা যায় সুদীপকে। কিন্তু মঙ্গলবার তিনি সেখানে ছিলেন না। মঙ্গলবার সংসদ অধিবেশনেও দেখা যায়নি লোকসভার তৃণমূল দলনেতাকে। তা নিয়ে কুণাল কিছু না বললেও উত্তর কলকাতার তৃণমূলের একাংশ নিজেদের পরিসরে বলতে শুরু করেছিলেন, সুস্থ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে কেন, তার জবাব নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিতে হবে। তবে অনেকেই মনে করছেন, কুণালের এই পোস্টে আপাতত ‘সংঘর্ষবিরতি’ ঘোষিত হল। দ্বিতীয় পোস্ট প্রসঙ্গে বুধবার কুণাল বলেন, ‘‘সুদীপদা আমার দীর্ঘদিনের পরিচিত। সিনিয়র নেতা। অনেক বিষয়েই আমরা একমত। দু’একটি বিষয়ে হয়তো একমত হই না। কিন্তু কথায়-কথায় বনাম হয় না। দিনের শেষে সিনিয়রের কথাই মানতে হয়। সম্পর্কটা দাদা এবং ভাইয়ের। সম্পর্কটা ফিশফ্রাই এবং নাড়ুর।’’

Kunal Ghosh

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}