Advertisement
২১ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

কোয়রান্টিন সেন্টার থেকে মহিলা-শিশুদের চম্পট! পরে উদ্ধার রাজাবাজারে

মঙ্গলবার রাতে স্বাস্থ্যকর্মীরা দেখেন যে, ওই মহিলা এবং তাঁর সঙ্গে থাকা দুই শিশুর হদিশ মিলছে না। প্রথমে বিল্ডিংয়ের ভিতরে খোঁজা হয়। কিন্তু সেখানে না পেয়ে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে পুলিশকে জানানো হয়।

কী ভাবে সরকারি প্রহরায় থাকা কোয়রান্টিন সেন্টার থেকে ওই মহিলা পালালেন, তা এখনও রহস্য। —ফাইল ছবি।

কী ভাবে সরকারি প্রহরায় থাকা কোয়রান্টিন সেন্টার থেকে ওই মহিলা পালালেন, তা এখনও রহস্য। —ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২০ ১৬:৩২
Share: Save:

নিউটাউনের কোয়রান্টিন সেন্টার থেকে পালিয়ে রাতভর বেপাত্তা রইলেন এক মহিলা এবং দু’টি শিশু। প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর তাঁদের হদিশ মিললেও, কী ভাবে সরকারি প্রহরায় থাকা কোয়রান্টিন সেন্টার থেকে ওই মহিলা পালালেন এখনও সেই রহস্যের কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। কোয়রান্টিন থেকে পালানো ওই মহিলার সঙ্গে সংস্পর্শে আসায় আরও ৬ জনকে পাঠানো হল কোয়রান্টিনে।

ঘ'টনাটি ঘটেছে নিউটাউনের এনবিসিসি বিল্ডিংয়ে। ওই ভবনে রাজ্য সরকার তৈরি করেছে কলকাতার দ্বিতীয় কোয়রান্টিন সেন্টার। দু’দিন আগেই রাজাবাজার এলাকায় বছর চল্লিশের এক ব্যক্তির কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া যায়। এর পরেই তাঁর পরিবারের তিন সদস্য— এক মহিলা এবং দুই শিশুকে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর নিয়ে যায় এনবিসিসি বিল্ডিয়ের কোয়রান্টিন সেন্টারে।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে স্বাস্থ্যকর্মীরা দেখেন যে, ওই মহিলা এবং তাঁর সঙ্গে থাকা দুই শিশুর হদিশ মিলছে না। প্রথমে বিল্ডিংয়ের ভিতরে খোঁজা হয়। কিন্তু সেখানে না পেয়ে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে পুলিশকে জানানো হয়। রাতভর পুলিশ খোঁজ চালায়। রাস্তার নাকাগুলোকেও সতর্ক করা হয়।

আরও পড়ুন: লকডাউনের সময়সীমা বাড়বে, সর্বদলীয় বৈঠকে ইঙ্গিত মোদীর

আরও পড়ুন: হাসপাতাল ফেরত বৃদ্ধকে করোনা-রোগী সন্দেহে ‘মার’

ওই মহিলার বাড়ি কলকাতা পুলিশ এলাকায় হওয়ায়, লালবাজারকেও জানানো হয়। সূত্রের খবর, মহিলার সঙ্গে থাকা মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনের সূত্র ধরে শেষ পর্যন্ত বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ রাজাবাজার এলাকাতে হদিশ মেলে ওই তিন জনের। তাঁরা ধরা পড়ে যাবেন, এই আশঙ্কায় নিজেদের বাড়িতে যাননি বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। মোবাইল টাওয়ারের সূত্র ধরে ওই পাড়াতেই হদিশ মেলে তিন জনের। কলকাতা পুলিশের সহযোগিতায় ওই তিন জনকে ফের কোয়রান্টিন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। এই তিন জন যে ৬ জনের সংস্পর্শে এসেছিলেন, গত রাতে তাঁদেরও কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে কী ভাবে নিউটাউন থেকে লকডাউনের মধ্যে রাজাবাজার পৌঁছলেন ওই মহিলা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, নিউটাউনের দু’টি কোয়রান্টিন সেন্টারেই এই ঘটনার পর থেকে বাড়ানো হয়েছে প্রহরা।

সোমবার একই ভাবে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে উধাও হয়ে যান আইসোলেশনে থাকা এক ব্যক্তি। দার্জিলিং জেলার নকশালবাড়ির বাসিন্দা ওই ব্যক্তি নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় সভায় গিয়েছিলেন। তার শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ তাঁর খোজে তল্লাশি চালাচ্ছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Quarantine Center Newtown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy