—প্রতীকী চিত্র।
সুরক্ষা আঁটোসাঁটো করতে ব্যাঙ্কশাল আদালতকে মুড়ে দেওয়া হয়েছে যন্ত্র-চোখের (সিসি ক্যামেরা) নজরদারিতে।
লালবাজার সূত্রের খবর, সপ্তাহখানেক আগে প্রস্তাব মতো ওই আদালতে বসানো হয়েছে ৪৫টি সিসি ক্যামেরা। এখনও কয়েকটি জায়গায় এবং একটি আদালতের লক-আপে সিসি ক্যামেরা বসানো বাকি। তবে সূত্রের খবর, সেই কাজ চলতি মাসেই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। পূর্ত দফতর এই ক্যামেরা বসালেও সেগুলির দেখাশোনা এবং নজরদারি করছে পুলিশ। সিসি ক্যামেরার উপরে ২৪ ঘণ্টা নজরদারির জন্য খোলা হয়েছে একটি নিয়ন্ত্রণ-কক্ষ। যা রয়েছে বিচারভবনে। সেখান থেকেই চলছে নজরদারি।
উল্লেখ্য, নতুন এবং পুরনো ব্যাঙ্কশাল ভবন ছাড়াও বিচারভবন রয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালত চত্বরে। তিনটি ভবন মিলিয়ে প্রায় ৪০টির মতো এজলাস বা কোর্ট রয়েছে। ওই তিনটি ভবনে প্রতিদিন বহু অভিযুক্তকে মামলার জন্য নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে যেমন থাকে ছোটখাটো চুরি বা দুষ্কর্মে অভিযুক্তেরা, তেমনই থাকে দাগি দুষ্কৃতী কিংবা দেশবিরোধী কাজের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিরাও। এ ছাড়া, বহু সাধারণ মানুষ সুবিচারের আশায় প্রতিদিন আসেন ওই তিনটি ভবনে। সূত্রের দাবি, ওই নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য আদালত চত্বর জুড়ে প্রতিদিনই অতিরিক্ত পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়ে থাকে।
তবে, এই ব্যবস্থা চালু থাকলেও প্রাচীন ওই আদালতের তিনটি ভবনে বা চত্বরে এত দিন কোনও যন্ত্র-চোখের নজরদারি ছিল না। পুলিশের একাংশের দাবি, ২০১৭ সালে বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তার দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই আদালত ভবনগুলিতে সিসি ক্যামেরার নজরদারির প্রয়োজন উপলব্ধি করেছিলেন লালবাজারের শীর্ষ কর্তারা। সেই মতো ক্যামেরা বসানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, দীর্ঘদিন তা বাস্তবায়িত না হলেও গত সপ্তাহ থেকে গোটা ব্যাঙ্কশাল চত্বর মুড়ে দেওয়া হয়েছে সিসি ক্যামেরায়।
পুলিশ জানিয়েছে, ব্যাঙ্কশাল আদালতের তিনটি ভবন এবং আদালত চত্বরে ঢোকা-বেরোনোর পথ, প্রতিটি তলা, সিঁড়ির মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। লক-আপে ঢোকা এবং বার হওয়া থেকে শুরু করে কোর্টের বাইরের দিকেও বসানো হয়েছে ক্যামেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy