—প্রতীকী চিত্র।
ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল। টাকা না পেলে অপহৃতকে খুন করার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। তদন্তে নেমে সোমবার মালদহ থেকে সেই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করল পুলিশ। কসবা থানা এলাকার এই ঘটনায় ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যবসায়ীর নাম অনির্বাণ হাজরা। বছর পঞ্চাশের অনির্বাণ গরফা থানা এলাকায় ইএম বাইপাসের একটি বহুতল আবাসনে থাকেন। তাঁর বিস্কুটের ব্যবসা। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সকাল ৭টা নাগাদ একটি কারখানা পরিদর্শনের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন অনির্বাণ। রুবি মোড়ের কাছে কসবা থানা এলাকার একটি হোটেলে যান তিনি। সেখান থেকেই কারখানা পরিদর্শনে যাবেন বলে স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন অনির্বাণ। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথাও হয় তাঁর। এর পরেই ওই ব্যবসায়ীর মোবাইল থেকে তাঁর স্ত্রীকে ফোন করে অভিযুক্তেরা জানায়, তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে। ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা। এর পরেই ব্যবসায়ীর পরিবারের সদস্যেরা গরফা থানার দ্বারস্থ হন। কিন্তু ঘটনাস্থল কসবা থানা এলাকায় হওয়ায় মামলা দায়ের করে তদন্তভার নেয় কসবা থানা।
তদন্তে নেমে রুবি মোড় সংলগ্ন এলাকার সমস্ত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। তাতে ওই ব্যবসায়ীকে এক জনের সঙ্গে গাড়িতে উঠতেও দেখা যায়। এর পরে মোবাইল টাওয়ারের অবস্থান খতিয়ে দেখে পুলিশ। সেই সূত্র ধরে রাতেই মালদহে যায় লালবাজারের বিশেষ দল। স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় মোথাবাড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় অনির্বাণকে। গ্রেফতার হয় ছ’জন। তাদের নাম জাহাঙ্গির শেখ, আব্দুল সায়েম, মাসুম আনসারি, রকি আনসারি, গোলাম মোস্তাফা ও মামুন শেখ। প্রত্যেকেই মালদহের বাসিন্দা। এ ছাড়া, দু’টি গাড়িও আটক করেছে পুলিশ।
মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব সোমবার বলেন, ‘‘এ দিন কসবা থানার পুলিশের একটি দল এসে আমাদের জানায়, এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়েছে। মোথাবাড়ি থানা ও কসবা থানা যৌথ অভিযান চালিয়ে ওই অপহরণের ঘটনায় ছ’জনকে গ্রেফতার করে। দু’টি গাড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়।’’
তবে, এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এখনও পলাতক। পুলিশ মনে করছে, মূল অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর পূর্ব-পরিচিত। তার সঙ্গে অনির্বাণের একাধিক বার আর্থিক লেনদেন হয়েছিল। এমনকি, রুবি মোড় সংলগ্ন হোটেল থেকে গাড়িতে ওঠার সময়ে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে কোনও ধস্তাধস্তিও চোখে পড়েনি। কলকাতা পুলিশের সাউথ সাবার্বান ডিভিশনের উপ-নগরপাল বিদিশা কলিতা বলেন, ‘‘এই ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত থাকতে পারে। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে এই অপহরণের আরও সূত্র মিলতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy