— প্রতীকী চিত্র।
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রতিদিন ঝামেলা লেগেই থাকত। সেই অশান্তির জেরেই এক দিন স্ত্রীকে গলা টিপে খুন করেছিল স্বামী। ২০১০ সালে মানিকতলা থানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া স্বামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিলেন শিয়ালদহ আদালতের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক আবির চট্টোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে, যে টাকা অনাদায়ে আরও এক মাস সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম অজয় মুখোপাধ্যায়। বুধবার আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল।
আদালত সূত্রের খবর, ২০১০-এর ১১ অক্টোবর রাতে মুরারিপুকুর রোডের বাসিন্দা অজয় বাড়ির শয়নকক্ষে গলা টিপে খুন করে স্ত্রী মীনা মুখোপাধ্যায়কে। মীনার বাবা শিশিরকুমার গঙ্গোপাধ্যায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ১৩ অক্টোবর অজয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালত সূত্রের খবর, এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার কারণেই স্ত্রীকে খুন করে অজয়।
মামলার সরকারি আইনজীবী সুধীনকুমার জানা জানান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য লেগেই থাকত। অজয়ের শ্বশুরবাড়ি নিউ ব্যারাকপুরে। ২০১০ সালের ৮ অক্টোবরও শ্বশুরবাড়িতে মীনাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা করেছিল অজয়। সুধীনের দাবি, ‘‘ওই ঘটনার পরেও মীনাকে অজয় হুমকি দিয়েছিল যে, তাঁকে সে ছাড়বে না।’’
সুধীন জানান, এর কয়েক দিন পরে এক রাতে স্ত্রীকে খুন করার পরে ভোরে শয়নকক্ষের দরজা ভেজিয়ে দিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় অজয়। অজয় ও মীনার কলেজপড়ুয়া ছেলে ঘরে ঢুকে দেখেন, মা অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তাঁর চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মীনাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই মামলায় জামিন পায়নি অজয়। মামলায় মোট ২১ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy