Advertisement
E-Paper

মাধ্যমিকে মোবাইল রাখতে পারবেন না নজরদার শিক্ষকেরাও

পরীক্ষা চলাকালীন কোনও শিক্ষকের কাছে মোবাইল রয়েছে বলে ধরা গেলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনটাই জানাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

নজরদার শিক্ষক সঙ্গে মোবাইল বা বৈদ্যুতিন যন্ত্র রাখতে পারবেন না।

নজরদার শিক্ষক সঙ্গে মোবাইল বা বৈদ্যুতিন যন্ত্র রাখতে পারবেন না। —প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৭:৩৮
Share
Save

মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন কোনও নজরদার শিক্ষক সঙ্গে মোবাইল বা বৈদ্যুতিন যন্ত্র রাখতে পারবেন না। তাঁর মোবাইল জমা রাখতে হবে ভেনু সুপারভাইজ়ার বা ভেনু সেক্রেটারির কাছে। পরীক্ষা চলাকালীন কোনও শিক্ষকের কাছে মোবাইল রয়েছে বলে ধরা গেলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনটাই জানাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

বুধবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রতিটি কেন্দ্রের ভেনু সুপারভাইজ়ার বা সেন্টার সেক্রেটারি ওই কেন্দ্রের নজরদার শিক্ষকদের নাম রেজিস্টারে লিখে রাখবেন। সেখানে শিক্ষকদের সঙ্গে মোবাইল নেই বলে লিখতে হবে। মোবাইল আনলে তা জমা রাখতে হবে ভেনু সুপারভাইজ়ার বা সেন্টার সেক্রেটারির কাছে। এর পরেও শিক্ষকদের কাছে ফোন আছে বলে ধরা পড়লে তাঁর বিরুদ্ধে অ্যাড হক কমিটি দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।’’ রামানুজ জানিয়েছেন, মাধ্যমিকে ডিউটির সময়— সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত মোবাইল রাখা যাবে না। যাঁরা নজরদার শিক্ষক নন, অথচ পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য কোনও ডিউটি করছেন, তাঁরাও মোবাইল রাখতে পারবেন না।

গত মঙ্গলবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদে এসে কয়েকটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা জানান, তাঁদের স্কুলের কয়েক জন ছাত্র নাম বিভ্রাটের জন্য অ্যাডমিট কার্ড পায়নি। যে ছাত্রের নামে অ্যাডমিড কার্ড আসার কথা ছিল, তার বদলে অ্যাডমিড কার্ড এসেছে এমন এক জনের নামে, যার এ বার পরীক্ষা দেওয়ারই কথা নয়। দু’জনের নাম একই হওয়ায় এই বিভ্রান্তি। এমন পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা। ডিএসও-র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় এক বিবৃতিতে জানান, যারা এখনও অ্যাডমিট কার্ড পায়নি, তাদের অ্যাডমিট কার্ডের ব্যবস্থা করতে হবে পর্ষদকে। না হলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে। যদিও রামানুজ জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষের চরম গাফিলতিতেই এই ঘটনা। তিনি বলেন, ‘‘নতুন করে অ্যাডমিট কার্ড দিতে হলে ফের অনলাইনে ফর্ম পূরণের পোর্টাল খুলতে হবে। যত সংখ্যক ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দিচ্ছে, তাদের নামে খাতা, প্রশ্ন পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের বসার জায়গার বিন্যাসও ঠিক হয়ে গিয়েছে। ১০ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক শুরু। এখন ফের অনলাইনে ফর্ম পূরণ করিয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ালে পুরো পরীক্ষা প্রক্রিয়াটাই আবার পুনর্গঠন করতে হবে। শেষ মুহূর্তে তা সম্ভব নয়।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

mobile Rules

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}