গ্রাফিক: সন্দীপন রুইদাস।
টাকার জন্য এক রোগীর দেহ আটকে রাখার অভিযোগ উঠল এসএসকেএম হাসপাতালের বিরুদ্ধে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
রবিবার হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগী বর্ণালী মণ্ডলের মৃত্যু হয়। বছর সাতচল্লিশের বর্ণালী গড়িয়ার বাসিন্দা। গত ৪ জুন গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত বর্ণালী গার্হস্থ্য হিংসা শিকার হন বলে তাঁর আইনজীবী সোমনাথ নিয়োগী জানান। তার পরই গত ৪ জুন গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। শরীরের বেশির ভাগ অংশ পুড়ে যাওয়ায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে প্রথমে জেনারেল ওয়ার্ডে এবং পরে উডবার্ন ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে ২০২ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
বর্ণালীর আইনজীবী জানান, রবিবার ভোর ৫টা নাগাদ বর্ণালীর মৃত্যু হয়। তাঁর অভিযোগ, কেবিনের ৩৮ হাজার ১৬০ টাকা না মেটালে রোগীর দেহ ছাড়া হবে না বলে হাসপাতাল থেকে জানানো হয়। দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ সেই বিল মেটানোর পর দেহ ছাড়া হয় বলে দাবি বর্ণালীর আইনজীবীর।
তবে দেহ আটকে রাখার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেই পাল্টা দাবি করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এসএসকেএম-এর সুপার পীযূষকুমার রায় বলেন, “টাকার জন্য দেহ আটকে রাখার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি। দেহ আটকে রাখার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।” সুপার আরও বলেন, “এসএসকেএম হাসপাতালে টাকার জন্য দেহ আটকে রাখা হয় না। মৃত্যুর পরই দেহ মর্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। মৃতের পরিবার কোনও অভিযোগ জানাননি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy