পথচলতি মানুষকে কুকুরে কামড়ানোর ঘটনা বেড়েছে। পুরকর্তাদের কাছে পৌঁছেছিল এই অভিযোগ। কিন্তু কুকুরের জন্ম নিয়ন্ত্রণের পরিকাঠামো ছিল না। অবশেষে নড়েচড়ে বসেছে দক্ষিণ দমদম পুরসভা। পথকুকুরদের নির্বীজকরণের জন্য এ বারের পুর বাজেটে ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই দায়িত্ব দেওয়া হবে কোনও বেসরকারি সংস্থাকে। বুধবার দক্ষিণ দমদম পুরভবনে ২০২৫-’২৬ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করা হয়।
পুরসভা সূত্রের খবর, গত কয়েক বছরে দক্ষিণ দমদমে পথচলতি মানুষকে কুকুরে কামড়ে দেওয়ার ঘটনা বেড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, পথকুকুরের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। তাদের জন্ম নিয়ন্ত্রণের কোনও ব্যবস্থা চোখে পড়েনি। সমস্যার কথা স্বীকার করে পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস বলেন, ‘‘কুকুরের জন্ম নিয়ন্ত্রণের নিজস্ব পরিকাঠামো পুরসভার নেই। তাই এ বার কোনও বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে নির্বীজকরণের কাজ করা হবে।
অন্যান্য পরিষেবার মান ও গতি বাড়াতে এ বার বাজেটে ওয়ার্ড-ভিত্তিক বরাদ্দ বাড়িয়েছে পুরসভা। ওয়ার্ড-পিছু উন্নয়ন এবং রক্ষণাবেক্ষণের বিভিন্ন কাজে ৫৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, দাবি মেনে নিয়ে অস্থায়ী কর্মচারীদের জন্য দৈনিক ২০ টাকা অতিরিক্ত ধার্য করা হয়েছে।
যদিও বিরোধীদের একাংশের অভিযোগ, আগামী বছর বিধানসভা ভোট, তাই এখন উন্নয়নের কথা মনে পড়েছে শাসকদলের। তাঁদের প্রশ্ন, গত কয়েক বছর ধরে যেখানে ব্যয় সঙ্কোচ আর আর্থিক সীমাবদ্ধতার কথাই শোনা গিয়েছে, সেখানে এই অতিরিক্ত ব্যয়ের টাকা কোথা থেকে আসবে?
অভিযোগ উড়িয়ে দক্ষিণ দমদম পুরসভার কর্তাদের একাংশের দাবি, যে সব পরিষেবার খরচ কমানোর সুযোগ ছিল, সেগুলির ক্ষেত্রেই ব্যয় কমানো হয়েছিল। সম্পত্তিকর-সহ বিভিন্ন খাতে যে পরিমাণ আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে, তার নিরিখেই ব্যয়ের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)