অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র। — ফাইল চিত্র।
শহর কলকাতায় ছয়শোর বেশি ছোট কারখানা রয়েছে, যেগুলির বেশিরভাগেরই আবার দমকল বিভাগের অনুমতি নেই! সাম্প্রতিক ফায়ার অডিটে মিলেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
গত মার্চে ট্যাংরায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর শহরের ঘনবসতি এলাকায় ফায়ার অডিটের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নির্দেশেই কলকাতা পুলিশ, পুরসভা, দমকল এবং সিইএসসি-কে নিয়ে ফায়ার সেফটি কমিটিও গঠিত হয়েছে। কমিটির তরফে শুক্রবার কলকাতা পুরভবনে একটি বৈঠক হয়। সেখানে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ছাড়াও পুরসভা ও দমকলের শীর্ষ কর্তারা ছিলেন।
তিলজলা, তপসিয়া, ট্যাংরা, রাজাবাজার, খিদিরপুরের মতো ঘিঞ্জি এলাকায় বার বার অগ্নিকাণ্ডে দেখা গিয়েছে বহু ছোট কারখানার কাগজপত্র নেই। বৈঠকের আলোচনায় উঠে আসে, ওই কারখানাগুলিতে অনেক সময়েই স্টোভ জ্বালিয়ে রান্না হয়। এমনকি বিদ্যুতের ওয়্যারিং ব্যবস্থাও নেই। তাই দমকল, পুরসভা, পুলিশ ও সিইএসসি-কে নিয়ে গঠিত কমিটি শহরের ঘিঞ্জি এলাকার ছোট কারখানার মালিকদের সতর্কতার পাঠ দেওয়া ও কর্মশালার ব্যবস্থা করবে। দমকলমন্ত্রী জানান, নিমতলা ঘাটে আগুন নেভাতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, কাঠের গুদামেই আগুন জ্বালিয়েরান্না হচ্ছে। এই সব নিয়ে সচেতনকরা হবে।
বৈঠকে ওই সব এলাকায় আগুন দ্রুত নেভানোর জন্য জল পেতে পুরসভার সহায়তা চেয়েছে দমকল। দমকলমন্ত্রী বলেন, ‘‘ঘিঞ্জি জায়গায় আগুন নেভানোর কাজে জলের সমস্যা মেটাতে পুরসভার কাছে আবেদন করেছি।’’ মেয়রের দাবি, ‘‘শহরে ৪৯০টির মতো বিপজ্জনক ‘পকেট’ রয়েছে, যেখানে আগুন লাগলে জলের দ্রুত ব্যবস্থা করতে ৭৫০টির মতো গভীর নলকূপ রয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন পাম্পিং স্টেশন থেকে দমকলের ইঞ্জিন যাতে দ্রুত জল পায়, তার ব্যবস্থাও করা হবে।’’
দমকলমন্ত্রী বলেন, ‘‘শহরের বিভিন্ন এলাকায় কমিটি সমীক্ষা করে দেখেছে, ছয়শোর মতো ছোট কারখানায় কাগজপত্রই নেই। আমরা ওই সব কারখানা বন্ধ করতে চাই না। মালিকেরা যাতে নিয়ম মেনে ব্যবসা করেন, তাই তাঁদের নোটিস পাঠিয়ে সতর্ক করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy