Advertisement
E-Paper

ছাত্রীকে ‘অশ্লীল মেসেজ’! পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে শিক্ষককে সাসপেন্ড করল স্কটিশ চার্চ কলেজ

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলেজের অধ্যক্ষ এবং সহকারী অধ্যক্ষের ইস্তফার দাবিও তুলেছেন পড়ুয়ারা। তাঁদের অভিযোগ, ওই ছাত্রীর তোলা অভিযোগকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তাঁরা।

স্কটিশ চার্চ কলেজের পড়ুয়াদের দাবি, গত কয়েক মাস ধরে এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষক।

স্কটিশ চার্চ কলেজের পড়ুয়াদের দাবি, গত কয়েক মাস ধরে এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষক। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:২১
Share
Save

কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজে এক ছাত্রীকে ‘অশ্লীল মেসেজ’ পাঠিয়ে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ উঠল সেখানকারই এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পড়ুয়াদের দাবি, এ নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষকে প্রথমে অভিযোগ জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এর পরেই অভিযুক্ত শিক্ষককে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলেজের অধ্যক্ষ এবং সহকারী অধ্যক্ষের ইস্তফার দাবিও তুলেছেন পড়ুয়ারা। তাঁদের অভিযোগ, ওই ছাত্রীর তোলা অভিযোগকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তাঁরা।

বৃহস্পতিবার স্কটিশ চার্চ কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। সেখানে স্বাক্ষর রয়েছে অধ্যক্ষের। বিজ্ঞপ্তিতে অভিযুক্তকে সাসপেন্ড করার বিষয়টি জানানো হয়েছে। সেখানে এ-ও জানানো হয়েছে যে, কর্তৃপক্ষ পরবর্তী সিদ্ধান্ত না-নেওয়া পর্যন্ত এই ‘সাসপেনশন’ বহাল থাকবে।

পড়ুয়াদের তরফে দাবি করা হয়েছে, গত কয়েক মাস ধরে এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষক। নির্যাতিতার পরিবার ততটা সচ্ছল নয়। সেই ‘সুযোগ’ নিয়ে তাঁকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অভিযুক্ত। বিনিময়ে ওই ছাত্রীর সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠ’ হতে চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ। বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের আরও দাবি, এর আগেও বেশ কয়েক জন ছাত্রীকে ‘যৌন হেনস্থা’ করেছেন অভিযুক্ত ওই শিক্ষক। মূলত, যে সকল ছাত্রী অসচ্ছল পরিবার থেকে এসেছেন, তাঁদের উত্ত্যক্ত করতেন তিনি। যৌন প্রস্তাব দিতেন। কেউ বাধা দিলে তাঁর ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দেওয়ার হুমকিও দিতেন। এই নিয়ে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন পড়ুয়ারা।

পড়ুয়াদের অভিযোগ, গত জুলাই মাসে অধ্যক্ষ মধুমঞ্জরী মণ্ডল এবং সহকারী অধ্যক্ষ সুপ্রতিম দাসের কাছে গিয়েছিলেন অভিযোগকারিণী। তাঁকে সাহায্য করার পরিবর্তে তাঁরা সরকারি ভাবে অভিযোগ দায়ের করতে বাধা দেন। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধেও কোনও পদক্ষেপ করেননি তাঁরা। শেষ পর্যন্ত কয়েক জন অধ্যাপকের চাপে বুধবার ওই ছাত্রীর করা অভিযোগ গ্রহণ করেছেন অধ্যক্ষ। বৃহস্পতিবার পড়ুয়াদের বিক্ষোভের চাপে শেষে অভিযুক্তকে সাসপেন্ড করেন কর্তৃপক্ষ।

Scottish Church College Sexual abuse Harrasment Protest Student

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।