—ফাইল চিত্র
শিক্ষক দিবস, স্বাধীনতা দিবস, শিশু দিবসের পরে এ বার তালিকায় জুড়ল বড়দিনও। করোনা পরিস্থিতিতে আর-পাঁচটা উৎসবের মতো এই দিনটাও পড়ুয়ারা পালন করল অনলাইনেই। ক্রিসমাস ক্যারল থেকে শুরু করে সান্তার সঙ্গে গল্পগাছা— আয়োজনে খামতি না থাকলেও উপহার ও কেক পাওয়ার সুযোগ ছিল না এই বছর। তাই খুদে পড়ুয়ারা সান্তাবুড়োর কাছে আবদার করল, স্কুল খোলার পরে কেক খাওয়াতেই হবে।
শহরের বেশির ভাগ স্কুলের পড়ুয়ারা জানাচ্ছে, সাধারণত বড়দিনের ছুটি পড়ার দিনেই স্কুলে উৎসব হত। এ বারও সেই মতো সাউথ পয়েন্ট স্কুলে বৃহস্পতিবার অনলাইনে ক্যারল গানে যোগ দেয় পড়ুয়ারা। নন্দিনী রায় নামে এক ছাত্রীর মা বলেন, ‘‘সবাইকে বাড়ি থেকে গান রেকর্ড করে পাঠাতে বলা হয়েছিল। ভেবেছিলাম, এ বার কোরাসে ক্যারল উপভোগ করা যাবে না। কিন্তু প্রযুক্তির দৌলতে সেটাও সম্ভব হয়েছে।’’
আর এক ছাত্রী রিতাক্ষী দাস জানায়, সে নাচের অনুষ্ঠান করেছে বাড়ি বসেই। তবে সান্তার কাছ থেকে কেক পাওয়া গেল না বলে মজায় খামতি থেকে গেল।
আরও পড়ুন: এগ্রি গোল্ড দুর্নীতিতে ৪ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ইডি-র
আরও পড়ুন: তিন মেদিনীপুরের ৩৫ টি আসনই দখল করবেন, দাবি শুভেন্দুর
শুধু পড়ুয়াদের নিয়ে অনুষ্ঠানই নয়, বাইরে বেড়াতে যাওয়ার স্বাদ পেতে শ্রী শিক্ষায়তন স্কুলে আয়োজন করা হয়েছিল ভার্চুয়াল টুরের। ছাত্রীরা ঘুরে এসেছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, জাদুঘর, শহিদ মিনার-সহ কলকাতার বিভিন্ন দ্রষ্টব্য স্থানে। কেউ আবার চলে গিয়েছে ডায়মন্ড হারবার, বকখালি, রায়চক, ফলতা। স্কুলের মহাসচিব ব্রততী ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতি অনেক কিছুই নতুন শেখাচ্ছে। ভার্চুয়াল টুর পড়ুয়াদের জন্য একটা অভিনব উপহার।’’
লা মার্টিনিয়ার স্কুলের সচিব সুপ্রিয় ধর জানান, তাঁদের স্কুলের জুনিয়র ও সিনিয়র সেকশনের পড়ুয়ারা অনলাইনেই বড়দিন উপলক্ষে নানা রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
লোরেটো ডে স্কুলের (বৌবাজার) পথশিশুদের ‘রেনবো’ বিভাগের এক আধিকারিক অবন্তিকা বড়ুয়া বলেন, ‘‘অন্য বছর বিশিষ্টজনেরা এই বিভাগের মেয়েদের জন্য উপহার আনেন, ওদের অনুষ্ঠান দেখেন। এ বার শুধু মেয়েরাই অনুষ্ঠান করবে।’’ পরে রয়েছে কেক-সহ বড়দিনের বিশেষ ভোজ ও অনলাইনে সিনেমা দেখার আয়োজন। সারাদিন এই বিভাগের পড়ুয়াদের সঙ্গে থাকবেন শিক্ষিকারা।
বাগুইআটির ন্যাশনাল ইংলিশ স্কুলে প্রতি বছরের মতো বড়দিনের উৎসবে সান্তা সেজেছিলেন স্কুলের শিক্ষিকারাই। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী সাহা বলেন, ‘‘অনলাইনে উদ্যাপনের জন্য শিক্ষিকারা সকলে স্কুলে এসেছিলেন। এ বছর শুধু ছিল না পড়ুয়ারা। সেই শূন্যতা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পূরণ হওয়ার নয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy