ছাত্র জীবন থেকেই বড় কিছু করার স্বপ্ন দেখতেন সাগর দারইয়ানি। নিজস্ব চিত্র
লালমোহন গাঙ্গুলি থাকলে নির্ঘাত বলতেন ‘যাদবপুর জমজমাট’।
জমজমাট তো বটেই। যাদবপুর যত সহজে দেওয়ালে দেওয়ালে ‘চিনের চেয়ারম্যান, আমাদের চেয়ারম্যান’ দেখতে শিখেছে তত সহজে ‘চিনের চাউমিন, আমাদের চাউমিন’ বলতে পারেনি। অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে তার উদ্বাস্তু ইতিহাস। অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে তার সঙ্গে জুড়ে যাওয়া খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম।
যাদবপুর আদতে দেশভাগের সাক্ষ্য নিয়ে গড়ে ওঠা এক জনপদ। কলোনি ঘেরা যাদবপুরের আর এক নাম প্রতিবাদও বটে। আবার একটা সময়ে অতি বাম রাজনীতির আঁতুড়ঘরও হয়ে উঠেছিল শিকড়-ছেঁড়া মানুষের ঠাঁই যাদবপুর। সেখানেই কাহিনিতে মোচড়। এ হেন যাদবপুরই তিব্বতের মোমো খেয়ে কলকাতাকে ‘ওয়াও’ বলতে শিখিয়েছে। এই যাদবপুর থেকেই মাংসের পুর দেওয়া ময়দার মোমো ব্র্যান্ডরূপে প্রকাশ পেয়েছিল। যে মোমো ভারতজয়ের পথে হাঁটতে হাঁটতেই বিশ্ববিজয়ের স্বপ্ন দেখছে।
ঘটনাচক্রে, এই স্বপ্নের পিছনেও দেশভাগ আর এক ছিন্নমূল পরিবারের ভাগ্যবদলের কাহিনি। ভাগ্যের উন্নতির সন্ধানে কলকাতায় এসে কলকাতার ভাগ্যবদলের কথা ভাবার কাহিনি।
কথায় আছে, বিন্দু বিন্দু করেই সিন্ধু তৈরি হয়। ঘটনাচক্রে, এই কাহিনির প্রধান চরিত্রও ‘সাগর’। সাগর দারইয়ানি। ‘ওয়াও মোমো’-র প্রতিষ্ঠাতা এবং কর্ণধার সাগর দেশভাগের শিকার এক ছিন্নমূল পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য। ২০০৮ সালের কোনও একদিন বাবার থেকে চাওয়া ৩০ হাজার টাকার পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। গত প্রায় দেড় দশকে যে ব্যবসার বার্ষিক ‘টার্নওভার’ পৌঁছেছে ৩০০ কোটি টাকায়!
১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর পশ্চিম পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে থাকতেন চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হরকিষণ দারইয়ানি। একই প্রদেশের অন্য কোনও প্রান্তে থাকতেন ম্যাজিস্ট্রেট অর্জনদাস রেলওয়ানি। একে অপরকে চিনতেন না তাঁরা। কিন্তু চিন্তার সাযুজ্য মিলিয়ে দেয় দু’জনকে— দু’জনেই মনে করতেন, দেশভাগের পরে ভারতের অন্য শহরের তুলনায় কলকাতা অনেক বেশি ‘সম্ভাবনাময়’।
সেই কলকাতায় এসে সিন্ধিদের সংগঠন গড়েছিলেন তাঁরা। দারইয়ানি-রেলওয়ানি পরিবারের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা এবং বৈবাহিক সম্পর্ক তৈরি হয়। রেলওয়ানি পরিবারের মেয়ে আর দারইয়ানি বাড়ির ছেলের বিয়ে হয়। সেই পারিবারিক সম্পর্কের দৌলতেই ১৯৮৮ সালে সাগরের জন্ম। সেই ছেলের মাথায় শিল্পপতি হওয়ার ভূত চাপে। একদিন তা হয়েও যায়।
তবে সেই কাহিনি সহজ ছিল না।
দারইয়ানি পরিবারকে কলকাতায় বারবার ঠিকানা বদলাতে হয়েছে। আর্থিক চাপ সামাল দিতে কর্মস্থলও বদলেছে। তেমনই একটি বড় ধাক্কার পর সব কিছু বিক্রি করে সাগরের বাবা একটুকরো জমি কিনে বাড়ি বানান যাদবপুরের শ্যামাপল্লিতে। সুলেখা মোড়ের কাছে সেই কলোনিতে বড় হওয়া সাগরের। যার আশেপাশে বিদ্যাসাগর, বিজয়গড়, চিত্তরঞ্জন, আজাদগড়, পোদ্দারনগর, কাটজুনগর কলোনি। নাম বদলেছে। কিন্তু কারও গা থেকে ‘রিফিউজি ক্যাম্প’-এর গন্ধ যায়নি।
সাগর তখন সপ্তম শ্রেণি। সাগর তখন থেকেই স্বপ্ন দেখেন। একদিন এক শিক্ষককে বলেও ফেলেছিলেন, ‘‘বড় হয়ে আমি শিল্পপতি হতে চাই।’’
বাস্তুহারাদের বাসস্থান হলেও যাদবপুর নানা দিক থেকে এগিয়েও গিয়েছে। শিয়ালদহ থেকে সরাসরি ট্রেন যোগাযোগের জনপদে একের পর এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। গড়ে উঠেছে সুলেখা কালি. উষা ফ্যান, বেঙ্গল ল্যাম্প, কৃষ্ণা গ্লাসের মতো কারখানাও। তবুও সেখানে দাঁড়িয়ে শিল্পপতি হওয়ার স্বপ্ন চাঁদ ছুঁতে চাওয়ারই সামিল ছিল। তবে সাগরের শিক্ষক তাঁকে হতাশ করেননি। উৎসাহ দিয়েছিলেন। সাগর মনে করেন, সেই উৎসাহ এবং প্রেরণার সঙ্গে নিজের চেষ্টা মিলিয়েই তাঁর এত বড় ব্যবসা।
সাগর বলেন, ছোট থেকেই তিনি বড় মাপের ‘সেল্সম্যান’ ছিলেন। আরও বলেন, ‘‘বাবার রেডিমেড জামাকাপড়ের দোকান ছিল। আমি লেখাপড়ার মাঝে সেখানে বসতাম। আমাদের ‘আলাদিন’ নামে একটা শার্টের ব্র্যান্ড ছিল। দোকানে কেউ শার্ট কিনতে এলে তাঁকে ট্রাউজার্সও পছন্দ করিয়ে দিতাম। আবার ট্রাউজার্স কিনতে এলে শার্ট। যে সব পোশাক অনেক দিন পড়ে থেকেও বিক্রি হত না, সেগুলোকেও মোড়ক বদলে কায়দা করে বিক্রি করে দিতে পারতাম। সেই বুদ্ধিটা কাজে লাগিয়েই এখন ব্যবসা করছি।”
সাগর বললেন, ‘‘মিল নেই। কিন্তু বিক্রি করায় মিল আছে। আমি কী ভাবে পণ্যটা তুলে ধরছি, সেটাই আসল। অনেকেই ভাল খাবার বানায়। আমরা খাবারকে ভাল করার কথা ভাবি। এখানেই ফারাক।’’ কথার হেঁয়ালি ব্যাখ্যা করে সদাহাস্যময় সাগর আরও বললেন, ‘‘মোমো তো ভাল খাবার। কত যুগ ধরে মানুষ খাচ্ছে। সেই মোমোকে আমরা ভাল করেছি। তাতেই মানুষের মন জিতেছি। আমরা যখন ব্যবসা শুরু করি, তখন এক্সাইড মোড়ে ১০ টাকা প্লেট মোমো পাওয়া যেত। আমরা নিয়ে এলাম ৪৫ টাকা প্লেট। ফারাক এটাই যে, আমরা মোমোটাকে ভাল বানালাম। ভিতরে পেঁয়াজ আর বাঁধাকপি না দিয়ে সত্যিই মাংস দিতে লাগলাম। একবার জিভ জিতে নিতে পারায় আর ভাবতে হয়নি।"
২০০৮ থেকে ২০২১— কত যে মাইলস্টোন ‘ওয়াও মোমো’ পার করেছে, তার একটা প্রদর্শনী রয়েছে সংস্থার কর্পোরেট অফিসের কাউন্টারে। এর মধ্যে দু’টি ধাক্কা এসেছিল। কিন্তু দু’বারই ব্যবসার কায়দা বদলে সাগর ‘ওয়াও’ বলে উঠেছেন! প্রথমটা ২০১৬ সালে নোটবন্দির সময়। সাগর বললেন, ‘‘আমাদের কাউন্টারে লোক নেই। সবাই এটিএম-এ লাইন দিয়ে। আমরা সেলসম্যানদের পাঠিয়ে দিলাম ওই লাইনেই। লাইন থেকে অর্ডার নিয়ে আবার লাইনেই ডেলিভারি। পরে অনেকেই এই পথে হেঁটেছে। কিন্তু আমরা প্রথম।’’ দ্বিতীয় ধাক্কাটা দিয়েছে করোনা। ব্যবসা শুরুর পর থেকে যা কখনও হয়নি, তা-ই হয়েছিল ২০২০ সালে। প্রথম ঢেউয়ের সময় পর পর কয়েক মাস মিলিয়ে ৩৩ কোটি টাকার ক্ষতি। আবার নতুন পথের সন্ধান। নোটবন্দির সময়ে যেটা ‘'লাইন-ডেলিভারি’ ছিল, সেটাই হয়ে গেল ‘হোম-ডেলিভারি’। কয়েক বছর আগে থেকে সেটা শুরু হলেও আসল ব্যবসাটা হল করোনাকালে। সাগর জানিয়েছেন, করোনার আগে মাসে হোম-ডেলিভারি হত দেড় লাখের মতো। এখন সেটা মাসে ৮ লাখ পার করেও এগিয়ে চলেছে।
হোম-ডেলিভারি বাড়লেও কাউন্টার বাড়ানো বন্ধ করেননি সাগররা। কলকাতায় একটি কাউন্টার দিয়ে শুরু করা ব্যবসা এখন শহরের ৮০ ঠিকানায়। কলকাতার বাইরে রাজ্যের শ’খানেক জায়গায়। এর পরেও যেখানে যেখানে বাঙালি সেখানে সেখানে ‘ওয়াও মোমো’ নিয়ে যেতে দেশের ১৭ শহরে ৩৮৩ টি কাউন্টার। বাঙালির প্রিয় সৈকত শহর দিঘায় দু’টি।
মূলত তিব্বত ও নেপালের খাবার মোমো। কিন্তু তাতে ষোলোআনা বাঙালিয়ানা আনতে কিছুই বাদ দেননি সাগররা। জানালেন, তাঁর মাথাতেই আসে যে, বাঙালির সম্মুখে বহুমুখে মোমোকে হাজির করাতে হবে। সেই মতো এখন ১৭ ধরনের ১১ স্বাদের মোমো পাওয়া যায়। ‘ওয়াও মোমো’-র হাত ধরেই এখন বাঙালির প্রিয় বেকড মোমো, তন্দুরি মোমো, বার্গার মোমো। আরও কত কী! চকোলেট মোমো, ম্যাঙ্গো মোমোর রসাস্বাদনও বাঙালির হয়েছে। সাগর হাসতে হাসতে বললেন, ‘‘মানুষের পছন্দ হতে পারে এমন কিছুই আমরা বাদ দিই না। আম স্বাদের মোমো খেয়ে সবাই ধন্য ধন্য করেছেন। ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে হার্ট শেপের আর রোজ ডে উপলক্ষে গোলাপের মতো দেখতে মোমো বানিয়েছি। আসলে আমরা ফুডকে ‘ফান’ বানাতে চেয়েছি। আর সফলও হয়েছি।’’
ওয়াও মোমোর এই সাফল্যের ভিত অনেক লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে গাঁথা হয়েছিল। মধ্য কলকাতার জোড়া গির্জার কাছে সেন্ট জেমস স্কুলে পড়তেন সাগর। ওই স্কুলের সামনেই এক মহিলা মোমো বিক্রি করতে আসতেন। সাগরের খুব প্রিয় ছিল সেই মোমো। কিন্তু দেখতেন, তিনি কিনলে বেশিটাই বন্ধুরা খেয়ে নেয়। তখন থেকেই মাথায় আসে, মোমো যদি এত সুস্বাদু হয়, সবাই কেড়ে খায়, তবে তার ব্র্যান্ড তৈরি করা যাবে না কেন?
সাগর বললেন, ‘‘আমরা ওঁকে ‘মোমো আন্টি’ বলে ডাকতাম। যখন প্রথম কাউন্টার খুলতে যাই গড়িয়াহাটের কাছে, জায়গাই পাইনি! অভিজ্ঞতা নেই বলে সমস্যা হচ্ছিল। মিথ্যে অভিজ্ঞতা দেখিয়ে কাউন্টার নিতে হয়। তখন মোমো আন্টির কাছে গিয়েছিলাম। তাঁর বানানো মোমো দেখিয়ে আর খাইয়েই কাউন্টার পাই।’’ কেমন আছেন সেই আন্টি? ‘‘এখনও নিয়মিত যোগাযোগ রাখি। ওঁর হাত ধরেই তো মোমোকে ভালবাসা। সুবিধা-অসুবিধায় আন্টির সঙ্গে থাকি। শুরুতে তো আন্টিকেও সঙ্গে চেয়েছিলাম। কিন্তু উনি থাকতে পারেননি। ওঁর স্বামী সেনাবাহিনীতে শহিদ হন। সংসার সামলে আমাদের ব্যবসায় আসতে পারেননি।’’
সাগরের শুরুর লড়াই একেবারে একলা নয়। লেখাপড়ায় খারাপ না হলেও অঙ্ক আর অ্যাকাউন্ট্যান্সি নিয়ে বেজায় বিপাক ছিল জীবনে। স্কুল এবং সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের ক্রিকেট, ফুটবল, হকি দলের নিয়মতি সদস্য সাগর প্রথম থেকেই বুঝেছিলেন, তাঁর যেমন মাথা, তাতে ‘ক্যাট’ পাওয়া হয়ে উঠবে না। এমবিএ হওয়াও হবে না। বন্ধুদের সঙ্গে গ্রুপ স্টাডি করার সময় বিভিন্ন ধরনের টিফিন বানাতে হত। চাউমিন, স্যান্ডুইচ ইত্যাদি। তারই মধ্যে নেপালি বন্ধু বিনোদকুমার হুমাগাই মোমো বানাতে পারতেন। অনেকে মিলে ব্যবসার পরিকল্পনা হলেও শেষ পর্যন্ত সঙ্গে ছিলেন শুধু বিনোদ। পরে ২০১৫ সালে আরও এক বন্ধু শাহ মিফাতুর রহমান যুক্ত হন ‘কো-ফাউন্ডার’ হিসেবে। এখন আরও অনেক দূরের পথ হাঁটার স্বপ্ন দেখছেন সাগর-বিনোদ-মিফাতুর।
সাগরের কথায়, ‘‘একা একা এগনো যায় না। যাদবপুরের বাড়িতে বাবার গ্যারাজে কারবার শুরু করেছিলাম। মায়ের রান্নাঘর থেকে লুকিয়ে ক্যাসারোল বার করে তাতে মোমো নিয়ে যেতাম কাউন্টারে। দিনে ২ হাজার টাকার ব্যবসা ছিল। সাউথ সিটি মলের কাউন্টারটা পেতেই সেটা মাসে ২ লাখ টাকা হয়ে যায়। কিছু দিনের মধ্যেই ১১ লাখ। তার পরে আমাদেরই নতুন শাখা হয়েছে ‘ওয়াও চায়না’। এই কাউন্টারে নানা চাইনিজ খাবার পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রেও আমাদের মন্ত্র— খাবারটা আরও ভাল বানাও। এখন তো ইনস্ট্যান্ট মোমো এসেছে। প্যাকেটজাত মোমো বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মুহূর্তে বানিয়ে ফেলা যায়। এটার মূল কারখানা দিল্লিতে। খুব তাড়াতাড়ি কলকাতাতেও যন্ত্র আসছে। এই বছরের মধ্যে কলকাতা-সহ গোটা দেশে ‘ওয়াও চিকেন’ নামে নতুন ব্র্যান্ড চালুর পরিকল্পনা চলছে।’’
তারপর?
সাগর যেন প্রশ্নটার অপেক্ষাতেই ছিলেন। বলতে শুরু করলেন, ‘‘এখন থেকেই প্রস্তুতি চলছে। বিদেশে পাড়ি দেবে কলকাতার মোমো। আমেরিকার বিভিন্ন সংস্থার খাবার যদি কলকাতায় এত জনপ্রিয় হতে পারে, তবে কলকাতার খাবারও আমেরিকা, ইউরোপের শহরে শহরে ব্যবসা করতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’’
সাগরের কথায় কথায় চলে আসে কলকাতা। শহরটা বড় প্রিয় তাঁর। বললেন, ‘‘আমি এই শহরটাকে সঙ্গে নিয়ে বড় হয়েছি। ভাগ্যের সন্ধানে আমার পিতামহ, মাতামহ এসেছেন এই শহরে। গড়িয়াহাটের যে দোকানদারের থেকে রোজ দু’কেজি করে চিকেন নিতাম, তিনিই এখন আমায় দৈনিক এক হাজার কেজি মাংস দেন। আগে আসতেন সাইকেলে। তার পরে বাইকে। আর এখন নিজের কোল্ড ভ্যানে। তাই এই শহর থেকেই আমি বিশ্ব দেখতে চাই। একই সঙ্গে দেখিয়ে দিতে চাই, কলকাতাও পারে!’’
শুধু কলকাতা নয়। বর্তমানের শক্ত মাটিতে দাঁড়িয়ে ভবিষ্যতে আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখা সাগর অতীতকেও সঙ্গে রাখতে চান। তাই যাদবপুরই এখনও ওয়াও মোমোর সূতিকাগৃহ। এখনও শ্যামাপল্লির ঠিকানা সাগরকে টানে। মনে করায়, এই কলকাতায় মাত্র ১০ টাকা নিয়ে বাবার ব্যবসা শুরুর কথা। ডান হাতের অনামিকায় থেকে যায় ২০০৭ সালে দিদিমার দেওয়া আংটি। ওই অঙ্গুরীয়তে সিন্ধ প্রদেশের স্মৃতি আছে। ওই আংটি মনে করিয়ে দেয়, এক ছিন্নমূল পরিবারের সন্তান হয়েও কলকাতাকে আপন করা যায়। কলকাতা থেকে, বাংলা থেকে বিশ্বের দিকে পা বাড়ানো যায়।
যাদবপুর জমজমাটই বটে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy