ব্যাঙ্কশাল কোর্টে রোদ্দূর রায়। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রীকে অশালীন আক্রমণ মামলায় রোদ্দূর রায়ের জামিনের আবেদনে রায়দান আপাতত স্থগিত রাখল ব্যাঙ্কশাল আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরেই রোদ্দূর রায়কে আনা হয় ব্যাঙ্কশাল কোর্টে। আদালতের চিফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) ময়ূখ মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে তাঁকে তোলা হয়েছে। আদালত থেকে পাওয়া খবর, শুনানি চলাকালীন প্রবল হই হট্টগোল হয় এজলাসে, কোর্টরুমের ভিতর বেশ কয়েক বার হাততালিও পড়ে। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সরকার পক্ষের আইনজীবী দীপঙ্কর কুণ্ডু। অন্যদিকে রোদ্দূরকে জামিন দেওয়ার প্রসঙ্গে দীপঙ্করের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন রোদ্দূরের আইনজীবীরা। ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগও ওঠে।
বুধবার গোয়া থেকে ফেরার পর লালবাজারের লক আপে ছিলেন রোদ্দূর। সেখান থেকে দুপুর আড়াইটে নাগাদ ব্যাঙ্কশাল আদালতে আনা হয় রোদ্দূরকে। আদালতের বাইরে রোদ্দূরের সমর্থনে তার আগেই হাজির হয়েছিল বেশ কিছু সংগঠন। রোদ্দূরকে নিয়ে পুলিশের গাড়ি ঢোকে আদালত চত্বরে। গাড়ি থেকে ইউটিউবার নামাতেই তাঁর নাম ধরে চিৎকার করতে শোনা যায় ভক্ত এবং সমর্থকদের। সেই ডাকে সাড়া দেন রোদ্দূরও। চারপাশে পুলিশের ঘেরাটোপ। তার মধ্যেই নিজের নাম শুনে সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নেড়ে কোর্টে ঢুকে যান রোদ্দূর। তবে আশঙ্কা, রোদ্দূরের বিচারপর্ব শেষ হলে এবং শাস্তি ঘোষণা হলে তাঁর সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখাতে পারেন।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শাসক দল তৃণমূলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেট মাধ্যমে কুরুচিকর আক্রমণের অভিযোগ রয়েছে রোদ্দূরের বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে রোদ্দূরের নেট মাধ্যমে ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগও আনা হয়েছে। সেই অভিযোগেই গোয়া থেকে গ্রেফতার করে বুধবার রাতে কলকাতায় আনা হয় রোদ্দূরকে। তার পর তাঁকে রাখা হয়েছিল লালবাজারে।
গায়ক রূপঙ্কর এবং অকালপ্রয়াত কেকে-কে নিয়ে রোদ্দূর সম্প্রতি একটি ফেসবুক লাইভ করেছিলেন। সেখানে তিনি রূপঙ্করের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা এবং অভিষেককে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করেন। কটূক্তি করেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম-সহ কলকাতার পুলিশ কমিশনার এবং রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন সম্পর্কেও। ওই ফেসবুক লাইভের বক্তব্য নিয়েই তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয় গত শনিবার।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy