Advertisement
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
PT Nair

কলকাতার কড়চা: এই শহরের পদাতিক প্রেমিক

গুগল ও ইন্টারনেটের দুনিয়া থেকে বহুদূর গ্রহের বাসিন্দা এই মানুষটি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করেননি।

পিটি নায়ার।

পিটি নায়ার। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪ ০৯:২৬
Share: Save:

বইয়ের আখ্যাপত্রে লেখকের ঠিকানা জ্বলজ্বল করছে। ৮২/সি কাঁসারিপাড়া রোড, কলকাতা ২৫। দুই কামরার এই ঠিকানায় যাদেরই ঢুঁ মারার সৌভাগ্য হয়েছে, তাদের সকলের বয়ানেই উঠে এসেছে ঘর-বোঝাই বইয়ের মধ্যে কলকাতার এই কড়চাকারের আড়ম্বরহীন দৈনিক জীবনযাপনের কথা।

পি টি নায়ার (১৯৩৩-২০২৪) (ছবি) তাঁর বইয়ের নাম আ হিস্ট্রি অব ক্যালকাটা’স স্ট্রিটস দিলেও, আসলে সেটির বিষয় কিন্তু ঠিক কলকাতার রাস্তার ইতিহাস নয়। বরং রাস্তার নামকরণ ও নাম পরিবর্তনের ইতিহাস খোঁজার প্রয়াস। বলা যেতে পারে, অনেকাংশে স্মৃতিভ্রষ্ট এক শহরকে তার পুরনো কথা মনে করিয়ে দেওয়ার মতো, ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর কাজটাই প্রায় ষাট বছর ধরে করে চলেছিলেন এই মালয়ালি ভদ্রলোক। নিশ্চিত রোজগার, সাংসারিক স্বাচ্ছন্দ্য, প্রাত্যহিক প্রয়োজনে ব্যাপক কাটছাঁট করেই পঞ্চাশ-ষাটখানা বই লিখে গেলেন, যার বেশির ভাগটাই কলকাতার ইতিহাস, ঐতিহ্য আর জনজীবন ঘিরে।

গুগল ও ইন্টারনেটের দুনিয়া থেকে বহুদূর গ্রহের বাসিন্দা এই মানুষটি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করেননি। তাই হয়তো তাঁর বইগুলিতে চোখে পড়ে প্রাক্‌-ডিজিটাল যুগের গবেষকের শ্রম আর অধ্যবসায়ের চিহ্ন। মূলত পায়ে হেঁটে বা গণপরিবহণ ব্যবহার করে শহর ইতিহাস আবিষ্কার শুরু করেছিলেন তিনি। রাস্তা-গলির এই পদাতিক সফরে আকর্ষক বাড়ি বা নাম দেখলেই নোট করেছেন। পরে খুঁজে বার করেছেন তার ইতিহাস। সেই অনুসন্ধান তাঁকে নিয়ে গিয়েছে পুরনো বইয়ের দোকানে। সেখান থেকে সংগ্রহ করেছেন অজস্র দুর্লভ দুষ্প্রাপ্য বই, প্রাচীন প্রতিবেদন এবং অন্যান্য নানা উপাত্ত-উপকরণ।

তার সঙ্গে যোগ হয়েছিল বিভিন্ন গ্রন্থাগারে কাটানো অপরিমেয় সময়। বস্তুত পায়ে হেঁটে দশ মিনিটে জাতীয় গ্রন্থাগার পৌঁছনো যায় বলেই ভবানীপুরের ওই ঠিকানায় উঠে এসেছিলেন এক সময়। এ ছাড়াও কলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটি, উত্তরপাড়ার জয়কৃষ্ণ লাইব্রেরির মতো পরিচিত গ্রন্থাগার ছাড়াও, কোনও প্রয়োজনীয় দুষ্প্রাপ্য বইয়ের খোঁজ পেলে ব্যক্তিগত সংগ্রাহকের কাছেও পৌঁছে গিয়েছেন বিনা দ্বিধায়। আর গ্রন্থাগারে বসে যখন সেই সব দুষ্প্রাপ্য বই থেকে পাতার পর পাতা টুকে নেওয়ার কাজ করতেন, তখন যে কোনও ধরনের কথাবার্তা এড়িয়ে চলতেন। এমনকি তাঁর অত্যন্ত পরিচিতজনও কোনও জরুরি প্রশ্ন নিয়ে দেখা করতে এলেও জানতেন যে তিনি কলম থামিয়ে না তাকানো পর্যন্ত তাঁদের অপেক্ষা করতে হবে। সেই সব তথ্য তার রেমিংটন টাইপরাইটারে টাইপ হয়ে পরে প্রকাশ পেত এক-একটি বইয়ের পাণ্ডুলিপিতে।

বই প্রকাশেই ইতিহাস খোঁজার শেষ নয়। তাই কলকাতার পথঘাটের ইতিহাসের এই বইয়ের সঙ্গে পাঠকদের প্রতি তিনি করতেন এই তথ্যভান্ডার সমৃদ্ধতর করার আবেদন। সেই কাজ যেমন নানা প্রশ্ন তুলে এনেছে, তেমনই অনুপ্রাণিত করেছে বহু নবীন গবেষককেও। গত ১৮ জুন চলে গেলেন পি টি নায়ার, তাঁর দেখানো পথে এগিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব এ বার পরবর্তী প্রজন্মের কাঁধে।

জন্মদিনে

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

শৌরীন্দ্রমোহন ঠাকুরের নিমন্ত্রণে ‘কলেজ রিয়্যুনিয়ন নামক মিলনসভা’য় বালক রবীন্দ্রনাথ দেখেছিলেন ‘বুধমণ্ডলীর মধ্যে একটি ঋজু দীর্ঘকায় উজ্জ্বলকৌতুকপ্রফুল্লমুখ গুম্ফধারী প্রৌঢ় পুরুষ’কে, খোঁজ নিয়ে জেনেছিলেন ‘তিনিই আমাদের বহুদিনের অভিলষিতদর্শন লোকবিশ্রুত বঙ্কিমবাবু’। এই মুগ্ধতা-মেশানো শ্রদ্ধা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের (ছবি) প্রতি আজও রয়ে গেছে বাঙালির, সাক্ষ্য দেবে কাঁটালপাড়া। ২৬-২৮ জুন তাঁর জন্মভিটেয় বঙ্কিম ভবন গবেষণা কেন্দ্রে হয়ে গেল সাহিত্যসম্রাটের ১৮৬তম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠান। তিন দিন ব্যাপী নানা অনুষ্ঠান— সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, বঙ্কিম-সাহিত্যের আলোচনা; নবপর্যায়ের বঙ্গদর্শন পত্রিকার সাম্প্রতিকতম সংখ্যা প্রকাশিত হল। বঙ্কিম-আদর্শে অনুপ্রাণিত, অনুশীলন সমিতির অন্যতম প্রাণপুরুষ ব্যারিস্টার পি মিত্রের স্মরণে খুলে গেল সংগ্রহশালার একটি নতুন কক্ষ, নাম ‘বঙ্কিমচন্দ্র ও ব্যারিস্টার পি মিত্র প্রদর্শকক্ষ’।

কবি-কথা

শূন্য দশকের কবিদের কবিতা-চর্চার স্বীকৃতি হিসেবে সম্মাননা দিয়ে থাকে ‘বাসুদেব দেব সংসদ’। আজ বিকেল সাড়ে ৫টায় রাজ্য চারুকলা পর্ষদের অবনীন্দ্র সভাগৃহে তাদের আয়োজনে সম্মানিত হবেন এই কবিরা; থাকবেন অভ্র ঘোষ ও গোপা দত্ত ভৌমিক। ‘জীবনে ও যাপনে বাবা’ এই শিরোনামে কথালাপে থাকবেন শক্তি চট্টোপাধ্যায় অমিতাভ দাশগুপ্ত সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত মানস রায়চৌধুরী সামসুল হক ও বাসুদেব দেবের পুত্র-কন্যারা। রয়েছে আমন্ত্রিত কবিদের কবিতাপাঠ ও কবি সম্মেলনও, সঞ্চালনায় যশোধরা রায়চৌধুরী। ‘বঙ্গপুতুল’ গোষ্ঠীর কর্ণধার, লোকশিল্পের আঙিনা থেকে পুতুলনাট্যকে বঙ্গজীবনে চিরপ্রতিষ্ঠার কাজে ব্রতী শিল্পী শুভ জোয়ারদার ভূষিত হবেন সংসদ প্রদত্ত সম্মাননায়।

ব্রাজিলের ছবি

কাঁটাতার, আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক ভিন্নতার বেড়াজালে আটকে থাকে না সিনেমা। সে তুলে ধরে ভিন্ন ভিন্ন বাস্তবের ছবি, পেরিয়ে যায় ভাষার দেওয়াল, ছুঁয়ে যায় আমাদের দৈনন্দিনতা। সেই ভাবনা থেকেই ভবানীপুর ফিল্ম সোসাইটি কলকাতার সিনেপ্রেমীদের জন্য আয়োজন করেছে দু’দিনব্যাপী চলচ্চিত্র উৎসব। একচল্লিশ বছরে পা দিল শহরের এই সিনে-চর্চা সোসাইটি, এর আগে তারা দেখিয়েছিল ভেনেজ়ুয়েলা ও পোল্যান্ডের বাছাই ছবি কিছু। কোপা আমেরিকার মরসুমে এ বার উৎসবে দিল্লির ব্রাজিল দূতাবাসের সহযোগিতায় দেখানো হবে ব্রাজিলের ছবি: ওলগা, জ়ুজ়ু এঞ্জেল, আ কাসা দে অ্যালিস ও আলতিমা পারাদা ১৭৪। নন্দন-৩’এ আজ-কাল, ২৯-৩০ জুন দুপুর সাড়ে ৩টে থেকে।

অপরাধ-চিত্র

অপরাধী কী ভাবে হয় কেউ? ‘বর্ন ক্রিমিনাল’ কি বাস্তব? না কি সমাজই দায়ী কারও অপরাধী হয়ে ওঠার যাত্রায়? অপরাধ, অপরাধী, অপরাধ-বিজ্ঞান থেকে মনস্তত্ত্ব, সবই উঠে এসেছে অন্বেষা পত্রিকার সাম্প্রতিক ‘বাঘবন্দি খেলা’ সংখ্যায়। শহরের দক্ষিণ শহরতলির এই আবাসন-পত্রিকায় ভাবনার অতুল রসদ। এই সংখ্যার আকর্ষণ শিল্পী অলকানন্দা রায় ও আইপিএস সৌমেন মিত্রের দীর্ঘ সাক্ষাৎকার; ১৯৯৭-এর ডিসেম্বরে রামকমল স্ট্রিটে জোড়া খুন ও উদয় সিংহ হত্যা রহস্যসূত্রে ওই মামলার অন্যতম অভিযোগকারী কালুয়ার প্রত্যক্ষ বয়ান। লালবাজারের ইতিহাস, উনিশ শতকের দুই ফিঙ্গারপ্রিন্ট-বিশারদ ভারতীয় স্যর হেমচন্দ্র বসু ও কাজী আজিজুলকে নিয়ে বিশেষ রচনা, ও-পার বাংলায় সাইবার-অপরাধের বাস্তবও অবাক করে।

প্রতিরোধের ‘হুল’

ইতিহাস-বইয়ে পড়া সাঁওতাল বিদ্রোহের অংশটুকু, তা বাদে কি মনে পড়ে ব্রিটিশ উপনিবেশ আর জমিদারি শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে সংগঠিত এই প্রতিরোধকে? সিধো কানহো চাঁদ ভৈরব ভাইদের কথা স্থান পেয়েছে ইতিহাসে, সাহিত্যে, থিয়েটারে। ১৮৫৫ সালে শুরু ‘হুল’ তথা বিদ্রোহের, এমনই জুন-শেষে। হুল-এর ১৭০ বছর উপলক্ষে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব কালচারাল টেক্সটস অ্যান্ড রেকর্ডস আয়োজন করেছে একটি প্রদর্শনী। লেক টেরেসে যদুনাথ ভবন মিউজ়িয়ম অ্যান্ড রিসোর্স সেন্টারে শুরু হচ্ছে ৩০ জুন, চলবে ৬ জুলাই পর্যন্ত। ব্রিটিশ লাইব্রেরি-র ‘এনডেঞ্জারড আর্কাইভস প্রোগ্রাম’-এর অর্থানুকূল্যে প্রদর্শনীতে দেখা যাবে হুল সংক্রান্ত বিরল নথি, অসলো-র ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব নরওয়ে-র সৌজন্যে সাঁওতালি পাণ্ডুলিপি, নানা সংস্কৃতিবস্তু।

১২৫ পেরিয়ে

বালুরঘাটে মন্মথ রায়ের কাছে পৌঁছল মধু বসুর টেলিগ্রাম, কলকাতা আসতে হবে। কী ব্যাপার? সাধনা বসু আলিবাবা নাটক করে উঠেছেন সম্প্রতি, ওঁর ইচ্ছে মন্মথর সাবিত্রী নাটকে অভিনয়ের! সে-ই শুরু। মধু বসুর প্রযোজনায়, সাধনার অভিনয়ে একে একে মন্মথের নাটক: বিদ্যুৎপর্ণা, রাজনটী, রূপকথা। পরে মধু বসুর পরিচালনায় মন্মথ লিখলেন অভিনয়, কুমকুম, রাজনর্তকী ছবিও। ২৭৬টি একাঙ্ক, ৫১টি পূর্ণাঙ্গ নাটক, বহু চিত্রনাট্য ও বেতার-নাটকের স্রষ্টা মন্মথ রায়কে কি মনে আছে কলকাতার? মনে আছে তাঁর কারাগার, মুক্তির ডাক, চাঁদ সদাগর? পেয়েছেন দীনবন্ধু পুরস্কার, সঙ্গীত নাটক অকাদেমি সম্মাননা, দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডি লিট। ১৬ জুন ছিল ওঁর জন্মদিন, এ বছর ১২৫ পূর্তি। জীবনানন্দ সভাঘরে স্মরণ-অনুষ্ঠানে ছিলেন উত্তরসূরিরা, প্রকাশ পেল শায়ক পত্রিকার মন্মথ রায় শ্রদ্ধাঞ্জলি সংখ্যা (সম্পা: শেখর দাস)। ছবিতে উত্তমকুমারের সঙ্গে মন্মথ রায়।

কার্টুনে ধরা

আত্তুপুরাতু ম্যাথু আব্রাহাম বললে অচেনা লাগতে পারে, কিন্তু আবু আব্রাহাম বললেই মনে পড়বে তাঁকে। যত না নিজে, তারও বেশি পরিচিত ও খ্যাত তিনি তাঁর কার্টুন, বিশেষত রাজনৈতিক কার্টুনের (ছবি) জন্য। কেরলের ভূমিপুত্র, চার দশক ব্যাপী বিস্তৃত কার্টুনিস্ট-সাংবাদিক-লেখকজীবন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের অনেকগুলি সংবাদপত্রের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন। ১১ জুন চলে গেল ওঁর জন্মদিন, এ বছরটি ওঁর জন্মশতবর্ষ। নিউ আলিপুরের গ্যালারি রস-এ ওঁর শতবর্ষ স্মরণে আয়োজিত হয়েছে চমৎকার একটি প্রদর্শনী: ‘দ্য ওয়ার্ল্ড থ্রু আবু’জ় আইজ়’। আজ শুরু, ২১ জুলাই পর্যন্ত, ১১টা-৭টা, রবিবার বাদে। তাঁর সময়ের দেশ ও বিশ্বের রাজনীতির ঘটনাপ্রবাহ আর কুশীলব, দুই-ই খর রঙ্গে-ব্যঙ্গে ফুটিয়ে তুলতেন এই শিল্পী। কেমন ছিল সেই সৃষ্টি আর ভাবনাবিশ্ব, এ বার সামনে থেকে দেখার সুযোগ শহর কলকাতার।

চোখের আলোয়

রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবীবিদ্যা চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল্ডস্মিথস কলেজের এক যৌথ প্রকল্পের অংশ হিসেবে গত ২১-২২ জুন জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে হয়ে গেল প্রদর্শনী ‘ন্যারেটিভ ট্রেলস ফ্রম দ্য লোকালিটি: রাজাবাজার’। প্রাথমিক উদ্দেশ্য রাজাবাজারের বাড়িগুলির বৈশিষ্ট্য দেখা, সেই পরিপ্রেক্ষিতে এখানকার মেয়েদের মন ও যাপনের খোঁজ। সমীক্ষা হয়েছে ওঁদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা, আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে। গোড়ায় শুধু নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়েদের নিয়ে এগোনোর কথা ভাবা হলেও, সংলাপ যত এগিয়েছে, ততই নিবিড় হয়েছে সংযোগ ও বন্ধুতা, সেই সূত্রে স্পষ্ট হয়েছে রাজাবাজারের প্রাত্যহিকী। নারীদের চোখ দিয়ে দেখা অন্যেরা আর অন্যের চোখে দেখা নারীরা, দুই-ই উঠে এসেছিল প্রদর্শনীতে, দৃশ্যশিল্পের নানা উপাত্তে। গত ২২ জুন ম্যাক্সমুলার ভবনে হয়ে গেল প্রাসঙ্গিক একটি আলোচনাও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kolkata History Uttam Kumar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE