চলছে প্রতিবাদ। —ফাইল চিত্র।
প্যানেল থেকে অযোগ্যদের বাদ দিতে হবে। কোনও ভাবেই পুরো প্যানেল বাতিল করা যাবে না। এই দাবিতে গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে ধর্না অবস্থান করছে ‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ ২০১৬’। আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানাচ্ছেন, মাধ্যমিক পরীক্ষার কারণে অবস্থান সাময়িক স্থগিত রেখে স্কুলে ফিরে যেতে পারেন তাঁরা।
আন্দোলনরত শিক্ষক মেহবুব মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা নিজেদের দাবি নিয়ে রাস্তায় বসে রয়েছি এক মাসেরও বেশি সময় ধরে। তবে আমাদের দায়িত্ববোধ আছে। রাজ্যে মাধ্যমিক শুরু হবে ১০ ফেব্রুয়ারি। শিক্ষকের অভাব থাকলে পরীক্ষা পরিচালনায় অসুবিধা হতে পারে। তাই পরীক্ষার আগে স্কুলে ফিরব, ঠিক করেছি। তবে, মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে স্কুলের তরফে অবশ্য আমাদের কিছু জানানো হয়নি। পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবেই স্কুলে ফিরতে চাই।’’
মেহবুবের দাবি, এত দিন তাঁরা যে আন্দোলন করছেন, সেখানে কেউই টানা ছুটি নিয়ে নেই। পালা করে ছুটি নিয়ে, কেউ বা স্কুল করে বিকেলে ওয়াই চ্যানেলে যোগ দিয়েছেন। আন্দোলনরত কয়েক জন শিক্ষক আবার জানাচ্ছেন, তাঁরা স্কুল শেষের পরে ট্রেনে করে শিয়ালদহে এসে ওয়াই চ্যানেলে পৌঁছেছেন। সারা রাত ওয়াই চ্যানেলে বসে পরের দিন আবার স্কুলে গিয়েছেন। তবে, মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়ে এ ভাবে পরীক্ষা ও আন্দোলন একসঙ্গে চালানো কার্যত অসম্ভব।
আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রশ্ন, সিবিআইয়ের কাছে অযোগ্যদের তালিকা থাকা সত্ত্বেও প্যানেল থেকে তাঁদের কেন বাদ দেওয়া হচ্ছে না? তাঁদের দাবি, এসএসসি-র আইনজীবীদের সুপ্রিম কোর্টে সব তথ্য ঠিক ভাবে তুলে ধরতে হবে। আন্দোলনরত এক শিক্ষক বলেন, ‘‘মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর আগে আন্দোলন আরও জোরদার হবে।’’ শিক্ষকদের অভিযোগ, ছ’-সাত বছর স্কুলে পড়ানোর পরে পুরো প্যানেল বাতিল হলে তাঁরা পরিবার নিয়ে পথে বসবেন। সে ক্ষেত্রে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য সপরিবার ওয়াই চ্যানেলে বসবেন তাঁরা। সেটা কবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। আন্দোলনের আরও প্রসার ঘটাতে শহরের গণ পরিবহণে, অর্থাৎ, বাসে, ট্রামে উঠেও প্রচার চালানোর পরিকল্পনা আছে তাঁদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy