নবান্ন। —ফাইল চিত্র।
নবান্ন অভিযান নয়, আন্দোলনকারীরা নবান্ন দখল করতে যাচ্ছিলেন বলে বুধবার কলকাতার সিজেএম আদালতে দাবি করলেন সরকারি আইনজীবীরা। আর জি করে পড়ুয়া-চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর ডাকে নবান্ন অভিযান হয়। সেই অভিযান ঘিরে হিংসার কারণে ময়দান, হেস্টিংস, আমহার্স্ট স্ট্রিট, জোড়াসাঁকো, বড়বাজার-সহ একাধিক থানা এলাকা থেকে ধৃত ১১২ জনকে এ দিন হাজির করা হয়েছিল সিজেএম, এসিজেএম (১) এবং এসিজেএম (২) আদালতে। প্রত্যেককে পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, পুলিশকে মারধর, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
এ দিন সিজেএম আদালতে ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর আর্জি জানিয়ে সরকারি আইনজীবীরা বলেন, ‘‘নবান্ন দখল করতে যাওয়ার মাধ্যমে অভিযুক্তেরা
বাংলাকে অশান্ত করতে চেয়েছিলেন। তাঁরা পুলিশকর্মীদের মারধর করেছেন। আগুন লাগিয়েছেন।’’ অভিযুক্তদের আইনজীবীরা পাল্টা বলেন, ‘‘আন্দোলনকারীরা জাতীয় পতাকা হাতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলেন। পুলিশ তাঁদের প্ররোচনা দিয়েছে। হিংসা হবে, আগে থেকে তারা জানল কী করে?’’ সিজেএম আদালতের এজলাসে এক অভিযুক্ত জামা খুলে এবং এক অভিযুক্ত জামা তুলে পুলিশের ‘মারধরের’ চিহ্ন দেখান। এ দিন দফায় দফায় এজলাসে দু’পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ হয়। চিৎকার-চেঁচামেচির কারণে বিচারক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। জোড়াসাঁকো থানা এলাকায় ধৃতদের আইনজীবী না থাকায় তাঁদের হয়ে মামলা লড়েন কলকাতার লিগ্যাল এড ডিফেন্স কাউন্সেলের আইনজীবী।
এ দিন ধৃতদের পরিজন-সহ বিভিন্ন মানুষ আদালত চত্বরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান। স্লোগান ওঠে, ‘পুলিশ তুমি চিন্তা করো, তোমার মেয়েও হচ্ছে বড়।’ স্লোগান দেওয়া নিয়ে পুলিশকর্মীদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় প্রতিবাদীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy