— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বারাসতের একটি নার্সিংহোমে এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে তৈরি হওয়া ‘অচলাবস্থা’কেই দায়ী করল মৃতের পরিবার। সফিকুল ইসলাম (৩৮) নামে ওই যুবকের পরিবারের অভিযোগ, জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণ দেখিয়ে কলকাতার তিনটি হাসপাতাল তাঁদের রোগীকে ভর্তি নিতে অস্বীকার করে। সফিকুল দেগঙ্গার সোহাই শ্বেতপুরের গাংনাপুর গ্রামের বাসিন্দা। গত ২ সেপ্টেম্বর সকালে মোটরবাইকে করে যাওয়ার সময়ে একটি লরি তাঁকে ধাক্কা মারে। রাস্তায় ছিটকে পড়ে ঘাড়ে ও শিরদাঁড়ায় আঘাত পান সফিকুল। তাঁকে প্রথমে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় সফিকুলকে কলকাতায় নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যেরা।
বুধবার মৃতের পরিবারের লোকজন জানান, বারাসত মেডিক্যাল কলেজ তাঁদের জানিয়েছিল, সফিকুলের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা মিলতে পারে কলকাতার কোনও হাসপাতালে। সেই কারণে ২ সেপ্টেম্বর বিকেলে এসএসকেএম, কলকাতা মেডিক্যাল এবং এন আর এস মেডিক্যাল কলেজের মতো তিনটি বড় হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোথাওই ভর্তি করা যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন সফিকুলের ভগিনীপতি জাহাঙ্গির গাজি। তিনি বলেন, ‘‘সফিকুলকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে ট্রলি পর্যন্ত মেলেনি। অ্যাম্বুল্যান্সের ট্রলিতে চাপিয়ে ওঁকে ইমার্জেন্সিতে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসক জানান, ধর্মঘট চলায় রোগী ভর্তি হবে না। ওখান থেকে গেলাম এসএসকেএমে। সেখানে দু’ঘণ্টা ঘুরেছি।’’ জাহাঙ্গির জানান, এর পরে শেষ রাতে তাঁরা বারাসতের ওই নার্সিংহোমে নিয়ে আসেন সফিকুলকে।
তবে তাদের যে শয্যা দিতে চাওয়া হয়নি, সেই সংক্রান্ত কোনও কাগজপত্র দেখায়নি পরিবারটি। তাদের অভিযোগ, প্রতিটি জায়গাতেই তাদের জানানো হয়েছে, চিকিৎসক নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy