মহিলাদের ১০০ জোড়া নীল রঙের জুতো। সেগুলির আঠা দিয়ে আটকানো সোল খুলতেই বেরিয়ে আসছে ছোট ছোট কালো রঙের প্যাকেট, যার ভিতরে রয়েছে চরস! এ ভাবেই বুধবার জুতো থেকে প্রায় ৫ কেজি ৭৮০ গ্রাম চরসের সন্ধান পেল নার্কোটিক্স কন্ট্রোল বুরো (এনসিবি), যার বাজারমূল্য প্রায় ছ’লক্ষ টাকা। কলকাতা বিমানবন্দরের পণ্য বিভাগ হয়ে ওই জুতো হংকং যাচ্ছিল।
হংকংগামী রংবেরঙের জুতোর মধ্যে শুধু নীল রঙের জুতোয় লুকনো ছিল চরস। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এ দিন বিমানবন্দরে যান এনসিবি আধিকারিকেরা। নথি থেকে জানা যায়, খিদিরপুরের রিজওয়ান খান নামে এক ব্যবসায়ী ওই জুতো হংকংয়ে পাঠাচ্ছিল। রিজওয়ানকে জেরা করা হলে জানা যায়, জুতো হংকংয়ে পাঠানোর দায়িত্বটুকু
তার ছিল। তবে জুতোয় চরস ভরে তার কাছে পাঠাত বারাসতের মোর্তজা আজিম নামে এক যুবক। এর পরে রাতেই বারাসতে হানা দিয়ে মোর্তজার বাড়ি থেকে আরও দু’কেজি ৩১ গ্রাম চরস উদ্ধার করে এনসিবি। মোর্তজাকে নিয়ে যাওয়া হয় এনসিবির দফতরে। বৃহস্পতিবার ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ, শুক্রবার তাদের আদালতে তোলার কথা।
এনসিবি সূত্রের খবর, এই মাদক পাচার চক্রের চাঁই, এক ভারতীয় যুবক হংকং থেকে পাচারের কাজ পরিচালনা করছেন। জেরায় মোর্তজা জানিয়েছে, ধর্মতলায় এসে এক ব্যক্তি তাকে চরস দিয়ে যেত। ওই ব্যক্তি সম্পর্কে বিশেষ কিছু সে জানে না বলে দাবি মোর্তজার। এর পরে আর এক জনের থেকে জুতো এনে তাতে চরস লুকিয়ে রিজওয়ানকে পাঠাত সে। এনসিবি আধিকারিকদের সন্দেহ, আগেও বহুবার হংকং ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার অন্য শহরে এ ভাবে মাদক পাঠিয়েছে রিজওয়ান।