প্রকাশ্য রাস্তায় কিংবা জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ম্যাস্টিক অ্যাসফল্ট তৈরি করা যাবে না। ফাইল ছবি।
প্রকাশ্য রাস্তায় কিংবা জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ম্যাস্টিক অ্যাসফল্ট তৈরি করা যাবে না। জাতীয় পরিবেশ আদালতের এমনই নির্দেশ। আবার ম্যাস্টিক অ্যাসফল্ট ছাড়া রাস্তা তৈরি হবে না। এমনই পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে মা উড়ালপুলের রাস্তা মেরামতির কাজ কী ভাবে হবে, তা নিয়েই চিন্তায় কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)।
পাঁচ বছর আগে শেষ বার ওই উড়ালপুলে রাস্তার কাজ হয়েছিল। প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক গাড়ি যাতায়াতের কারণে সেই রাস্তা ছোট ছোট ফাটলের আকারে ভাঙতে শুরু করেছে। সামনে বর্ষাকালও আসছে। বৃষ্টির জল ওই সমস্ত ফাটলের ভিতরে ঢুকলে সেগুলি আরও বড় হয়ে রাস্তা বিপদসঙ্কুল করে তুলতে পারে বলেই আশঙ্কা কেএমডিএ-র। কিন্তু বিকল্প এখনও ভেবে ওঠা যায়নি বলেই সূত্রের খবর।
মা উড়ালপুলে ইতিমধ্যেই ভাঙন পরিদর্শন করেছেন কেএমডিএ-র আধিকারিকেরা। তপসিয়ার দিক থেকে ওঠা এবং নামা ছাড়াও উড়ালপুলের উপরের অংশ মিলিয়ে আনুমানিক দু’কিলোমিটার রাস্তা ভেঙেছে ইতিমধ্যে। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘ম্যাস্টিক তৈরিতে যে পরিমাণ তাপ উৎপন্ন হবে, তা পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকারক। আবার অন্য কোথাও ম্যাস্টিক তৈরি করে এনে ব্যবহার করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তবে রাস্তা ঠিক করাটা জরুরি। ফলে বিকল্প নিয়ে ভাবা হচ্ছে।’’
সূত্রের খবর, তৈরির পরেই যে হেতু গাড়ি চলাচল শুরু হয়ে যায়, তাই তখন থেকেই রাস্তার উপরে চাপ পড়তে শুরু করে। আধিকারিকদের একটি অংশ জানিয়েছেন, ম্যাস্টিকের বিকল্প হিসাবে বিটুমিন ব্যবহার করা যায় কি না, তা নিয়েও চিন্তাভাবনা চলছে। তবে, সে ক্ষেত্রে নতুন তৈরি রাস্তাকে শক্ত হওয়ার জন্য সময় দিতে হবে। আধিকারিকেরা জানান, রাস্তা তৈরির সময়ে অন্তত তিন দিন গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখতে হবে। তার জেরে ট্র্যাফিক কতটা প্রভাবিত হতে পারে, তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলা হবে বলে জানানো হয় সংস্থার তরফে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy