Advertisement
২২ অক্টোবর ২০২৪
Municipality Doctor Harassment

সহকর্মীর ‘পুলিশি হেনস্থা’য় কর্তৃপক্ষ চুপ, ক্ষুব্ধ পুর চিকিৎসকেরা

তপোব্রতকে ‘পুলিশি হেনস্থা’র প্রতিবাদে গত বুধবার কলকাতা পুরভবনে এক বৈঠকে চিকিৎসকদের তরফে দাবি জানানো হয়েছিল, অবিলম্বে তপোব্রতের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে পুলিশকে।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:৪১
Share: Save:

রেড রোডে পুজোর কার্নিভালে আপৎকালীন মেডিক্যাল ক্যাম্পে ডিউটি করতে গিয়েছিলেন পুরসভার চিকিৎসক তপোব্রত রায়। তাঁর জামায় লেখা স্লোগানে আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল। অভিযোগ, যার জেরে পুলিশি হেনস্থার শিকার হতে হয়েছিল ওই পুর চিকিৎসককে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই চিকিৎসকদের তরফে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা রুজু করা হয়েছে। কিন্তু সহকর্মীর হেনস্থার এই ঘটনায় পুর কর্তৃপক্ষের ভূমিকা দেখে হতাশ ও ক্ষুব্ধ পুরসভার অন্য চিকিৎসকেরা। তাঁদের প্রশ্ন, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মেয়র ফিরহাদ হাকিম পুর চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে কোনও বিবৃতি দেননি কেন?

তপোব্রতকে ‘পুলিশি হেনস্থা’র প্রতিবাদে গত বুধবার কলকাতা পুরভবনে এক বৈঠকে চিকিৎসকদের তরফে দাবি জানানো হয়েছিল, অবিলম্বে তপোব্রতের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে পুলিশকে। পাশাপাশি, পুলিশকে এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশও করতে হবে। কিন্তু ঘটনার চার দিন পরেও তাঁদের কোনও দাবি না মানায় শনিবার কলকাতা পুরসভার কমিশনারের কাছে পুর চিকিৎসকদের স্মারকলিপি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পুর কমিশনার তাঁদের জানান, এ বিষয়ে পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে হবে।

সেই মতো এ দিন প্রায় ৫০ জন পুর চিকিৎসক মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে স্মারকলিপি দেন। তাঁর সঙ্গে বৈঠক করার পরে বেরিয়ে এসে চিকিৎসকেরা সাফ জানান, এ দিন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা খুশি নন। এই প্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে প্রশ্ন করা হলেও তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

পুরসভা সূত্রের খবর, এ দিন সন্ধ্যায় পুর চিকিৎসকেরা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরে সেখানে পুর কমিশনার ও পুরসভার মুখ্য আইন আধিকারিক গিয়ে বৈঠক করেন।

অন্য বিষয়গুলি:

Durga Puja Carnival FirhadHakim
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE