কালীঘাটে স্কাই-ওয়াকের কাজের জন্য নিয়মিত ব্যবসা বন্ধ রয়েছে বেশ কিছু স্থানীয় দোকানির। এর জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক, নয়তো অন্যত্র পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হোক, এই আবেদন জানিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সুবীর রায়-সহ বেশ কয়েক জন। মঙ্গলবার বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবেদনকারীদের দাবি, ব্যবসা বন্ধ থাকায় মহাজনের থেকে নেওয়া ধারের টাকা মেটাতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। বিপাকে পড়েছেন ওই ব্যবসায়ীরা। সমস্যায় পড়েছে তাঁদের পরিবার। তাই আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তাঁরা। মঙ্গলবার মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান আবেদনকারীর আইনজীবী ঋতুপর্ণা ঘোষ।
আরও পড়ুন:
২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে কালীঘাটের স্কাইওয়াক নির্মাণের কাজ শুরু হয়। কালীঘাট মন্দির ও সংলগ্ন চত্বর সাজাতে ২০১৯ সালে বরাদ্দ হয়েছিল ১৫ কোটি টাকা, তা বাড়িয়ে ১৭ কোটি করা হয়। মন্দিরের বাইরের জায়গার সংস্কার ও স্কাইওয়াক নির্মাণের দায়িত্বে রাখা হয় কলকাতা পুরসভা এবং পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরকে। মন্দির সংস্কারের যাবতীয় দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলে দেন রিলায়েন্স গোষ্ঠীর হাতে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, এই স্কাইওয়াকের কারণে ক্ষতির মুখে তাঁদের ব্যবসা। তাঁরাই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।