—প্রতীকী চিত্র।
শহরের বেশ কিছু বেসরকারি স্কুলে আজ, সোমবার ছুটি থাকছে। পরীক্ষা থাকলে তা-ও পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিছু স্কুলে আবার তাড়াতাড়ি ছুটি দিয়ে দেওয়া হবে। তবে এর কারণ হিসাবে সরাসরি অযোধ্যার রামমন্দির উদ্বোধনের কথা বলা হচ্ছে না। কোনও স্কুল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, বিশেষ কারণবশত ছুটি দেওয়া হচ্ছে। কেউ আবার বলছেন, স্কুলের কিছু কর্মসূচির কারণে ছুটি। যদিও অভিভাবকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শহরে ওই দিন রাজনৈতিক দলগুলির একাধিক কর্মসূচির কারণে এই আগাম ছুটিতে তাঁরা স্বস্তিতে আছেন। সরকারি স্কুলগুলিতে অবশ্য ছুটির কথা কিছু বলা হয়নি।
বেসরকারি স্কুলগুলির মধ্যে ডিপিএস রুবি পার্ক শনিবার নোটিস দিয়েছে যে, বিশেষ কারণবশত সোমবার কোনও ক্লাস ও দশম শ্রেণির পরীক্ষা হবে না। শুধু সকাল সাড়ে ৭টায় বোর্ডের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা দিতে আসতে হবে কিছু পড়ুয়াদের। সাউথ পয়েন্ট স্কুলের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কৃষ্ণ দামানি জানান, শনি-রবিবার স্কুলে কার্নিভাল থাকায় সোমবার স্কুল ছুটি দেওয়া হচ্ছে। ডন বসকো পার্ক সার্কাসের অধ্যক্ষ বিকাশ মণ্ডল বলেন, ‘‘আগে থেকেই সোমবার শিক্ষকদের পিকনিকের কর্মসূচি ছিল। তাই স্কুল ছুটি থাকছে। তবে সোমবার শহরে যানজটের আশঙ্কা আছে। ছুটি থাকায় পড়ুয়াদের অসুবিধা হবে না।’’ মহাদেবী বিড়লা স্কুলের অধ্যক্ষ অঞ্জনা সাহা বলেন, ‘‘রবিবার স্কুলে পরীক্ষা ছিল। এর আগে দু’দিন শিক্ষকেরা নানা কারণে স্কুলে এসেছেন। তাই সোমবার ছুটি।’’ খেলায় অংশগ্রহণকারীরা ছাড়া বাকি সব পড়ুয়াদের ছুটি দিয়েছে ক্যালকাটা গার্লসও। তাড়াতাড়ি ছুটি দেবে লা মার্টিনিয়র, দ্য অ্যাসেম্বলি অব গড চার্চ। যানজটের আশঙ্কাতেই এই আগাম ছুটি বলে মনে করছেন অভিভাবকেরা। তবে রামমোহন মিশন হাই স্কুলের অধ্যক্ষ সুজয় বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমাদের স্কুল পূর্ণ সময় হবে। মিছিলের পথে আমাদের পড়ুয়াদের আটকে পড়ার আশঙ্কা নেই।’’
সরকারি স্কুলগুলি অবশ্য জানাচ্ছে, তাদের পূর্ণ সময় ক্লাস হবে, মিড ডে মিলও দেওয়া হবে নির্ধারিত সময়ে। তবে হাজরা এলাকার স্কুলগুলির (মিত্র ইনস্টিটিউশন ভবানীপুর শাখা, বেলতলা গার্লস) অভিভাবকেরা যানজটে আটকানোর আশঙ্কা করছেন। মিত্র ইনস্টিটিউশন ভবানীপুর শাখার প্রধান শিক্ষক রাজা দে বলেন, ‘‘আমাদের স্কুল পূর্ণ সময়ই হবে। হাজরা থেকে মিছিল বিকেল ৩টেয়। তার কিছু পরেই আমাদের ছুটি হয়। যানজটে পড়তে পারে পড়ুয়ারা।’’ ওই স্কুলের নবম শ্রেণির এক পড়ুয়ার অভিভাবক বলেন, ‘‘ছুটির সময়ে যানজটে পড়তে পারে। তাই ছেলেকে স্কুলে পাঠাব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy