Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
saraswati pujo

সরস্বতী পুজো বিতর্কে মদনের নিশানায় প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, দিলেন প্রতীকী হাতেখড়ি

অন্যান্য দিনের মতো নিজস্ব ভঙ্গিমায় দেখা যায় মদন মিত্রকে। তাঁর পরনে ছিল হালকা হলুদ রঙের পাঞ্জাবি এবং লাল ধুতি। বরাবরের মতো চোখে ছিল রোদচশমা।

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পুজোতে মদন মিত্র।

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পুজোতে মদন মিত্র। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:১৭
Share: Save:

হাতেখড়ি দিলেন মদন মিত্র। বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে তৃণমূলের সরস্বতী পুজোয় গিয়ে হাতেখড়ি দেন তিনি। ক্যাম্পাসের ভিতরে কেন পুজো করতে দিলেন না প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ তা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দেন কামারহাটির বিধায়ক। তাঁর কথায়, “ধর্ম যাঁর যাঁর, উৎসব সবার। আমার ধর্ম এখানে পালন করতে দেওয়া হল না। এর বিরুদ্ধে আমরা আদালতে যাব।”

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে সরস্বতী পুজো করতে চেয়েছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তাতে অনুমতি দেননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক তৈরি হয়। পরে বাধ্য হয়ে ক্যাম্পাসের বাইরে তারা পুজোর আয়োজন করে। কলেজ স্ট্রিট লাগোয়া মূল গেটের বাইরে মণ্ডপ বেঁধে পুজো করে টিএমসিপি। বৃহস্পতিবার কোনও রকম বিশৃঙ্খলা এড়াতে গেট বন্ধ রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন মণ্ডপ ঘুরে বেলার দিকে সেই পুজোতেই হাজির হন মদন। সেখানে স্লেট এবং পেনসিল দিয়ে হাতেখড়ি দেন তৃণমূল নেতা। প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন সংবিধান পাঠ করতেও দেখা যায় তাঁকে। এর পরই কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, “সংবিধান কোথাও বলেনি পুজো না করতে। যে যাঁর ধর্ম পালন করতে পারেন। কিন্তু এঁরা তা করতে দেননি। কাপুরুষের মতো ভিতর থেকে তালা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।” প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে মানেন না বলে তিনি দাবি করেন।

ক্যাম্পাসের মধ্যে সরস্বতী পুজো করতে না দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি, বিজেপিকেও নিশানা করেন মদন। তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা উচিত ছিল বিজেপির। নির্দেশিকা পাঠিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার জানতে পারতেন কেন সরস্বতী পুজো করতে দেওয়া হবে না।” অন্যান্য দিনের মতো নিজস্ব ভঙ্গিমায় দেখা যায় মদনকে। তাঁর পরনে হালকা হলুদ রঙের পাঞ্জাবি এবং লাল ধুতি ছিল। বরাবরের মতো চোখে ছিল রোদচশমা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy