E-Paper

বিদ্যুৎ-বিভ্রাটে জর্জরিত ভাঙড়ের চার থানা, সমাধানে জেনারেটর কিনছে লালবাজার

লালবাজার জানিয়েছে, এক-দু’দিনের ঘটনা নয়, বরং মাঝেমধ্যেই লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ছে কলকাতা পুলিশের ভাঙড় ডিভিশনের চারটি থানা— পোলেরহাট, উত্তর কাশীপুর, ভাঙড় এবং চন্দনেশ্বর।

Representative Image

—প্রতীকী ছবি।

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৪ ০৮:০৭
Share
Save

লালবাজারে জরুরি তলবের একটি রিপোর্ট পাঠাচ্ছিলেন ভাঙড় ডিভিশনের এক থানার আধিকারিক। রিপোর্ট লেখা যখন শেষের মুখে, তখনই লোডশেডিং হয়ে যায় থানায়। থানা চত্বরে থাকা একটি জেনারেটর চালিয়ে কোনও মতে থানার কাজ শুরু করা গেলেও কম্পিউটার চালু করা যায়নি। ফলে ওই রিপোর্ট পাঠাতে দেরি হয়ে যায় থানার তরফে।

লালবাজার জানিয়েছে, এক-দু’দিনের ঘটনা নয়, বরং মাঝেমধ্যেই লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ছে কলকাতা পুলিশের ভাঙড় ডিভিশনের চারটি থানা— পোলেরহাট, উত্তর কাশীপুর, ভাঙড় এবং চন্দনেশ্বর। লোডশেডিংয়ের জেরে ওই চারটি থানার কাজ যাতে ব্যাহত না হয়, তার জন্য এ বার ১০ কেভি ক্ষমতাসম্পন্ন জেনারেটর কিনতে চলেছে লালবাজার। ওই জেনারেটর হবে শব্দহীন। ওই চারটি থানা ছাড়াও একই সমস্যায় পড়েছে ভাঙড়ের উপ-নগরপাল বা ডিভিশনের অফিস এবং ভাঙড় ট্র্যাফিক গার্ডও। সেখানেও ওই জেনারেটর দেওয়া হবে।

এক পুলিশকর্তা জানান, ইতিমধ্যেই ছ’টি ১০ কেভি ক্ষমতার জেনারেটর কেনার জন্য দরপত্র ডাকা হয়েছে। খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১৬ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা। মনে করা হচ্ছে, ভোটের আগেই ওই জেনারেটর থানাগুলিতে পৌঁছে দেওয়া যাবে।

কলকাতা পুলিশ শহুরে বা মেট্রোপলিটন পুলিশ হিসাবে পরিচিত হলেও বর্তমানে লালবাজারের অধীনে এসেছে ভাঙড়ের মতো প্রায় ২০০ বর্গকিলোমিটার গ্রামীণ এলাকা। ওই গ্রামীণ এলাকার আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে লালবাজার সেখানে আটটি থানা তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। তার মধ্যে পোলেরহাট, উত্তর কাশীপুর, ভাঙড় এবং চন্দনেশ্বর থানা তৈরি হয়ে সেখানে কাজ শুরু হয়েছে। বাকি চারটি থানা এখনও কাজ শুরু করেনি। অভিযোগ উঠেছে, কাজ করতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই লোডশেডিংয়ের কবলে পড়তে হচ্ছে ওই থানাগুলির আধিকারিকদের। থানায় একটি পুরনো জেনারেটর থাকলেও বিদ্যুৎ না
থাকাকালীন তা দিয়ে থানার সব কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই ভোটের মতো গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য ওই শব্দহীন ১০ কেভি ক্ষমতাসম্পন্ন জেনারেটর কেনা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

ভাঙড়ের একাধিক থানার আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, সামনেই গরমকাল। জেনারেটর না থাকলে লোডশেডিংয়ের সময়ে ভোটের কাজ যেমন ব্যাহত হতে পারে, তেমনই থানার সাধারণ কাজেও বাধা পড়বে। তাই ভোটের আগেই জেনারেটর কেনার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন তাঁরা।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Lalbazar Bhangar

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।