Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
CCTV Camera

থানার সিসি ক্যামেরা নিয়ে রিপোর্ট প্রতিদিন, নির্দেশ লালবাজারের

লালবাজার জানিয়েছে, বর্তমানে সব থানাতেই অন্তত তিনটি করে সিসি ক্যামেরা রয়েছে— থানার সেরেস্তা, লক-আপ এবং ঢোকা-বেরোনোর পথে। এ ছাড়াও ২৪টি থানায় প্রায় ৯৪৫টি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।

An image of CCTV Camera

—প্রতীকী চিত্র।

শিবাজী দে সরকার
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৩ ০৬:১২
Share: Save:

থানায় অভিযোগ জানাতে আসা ব্যক্তির সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন এক আধিকারিক— এই অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশকর্তারা দেখতে পেয়েছিলেন, থানার ওই জায়গায় থাকা সিসি ক্যামেরা অচল। যা কোনও কর্তার নজরে আনা হয়নি। আর তার ফলে বিপাকে পড়তে হয় পুলিশকেই। পূর্ব কলকাতার ওই থানার বিরুদ্ধে ওঠা এমন অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়। কলকাতা পুলিশের একাধিক থানায় সিসি ক্যামেরা থাকলেও তা মাঝেমধ্যেই অচল থাকে বলে অভিযোগ। তাই এ বার থানার সিসি ক্যামেরাগুলি কী অবস্থায় রয়েছে, তা প্রতিদিন রিপোর্ট আকারে কন্ট্রোল রুমে পাঠানোর নির্দেশ জারি করল লালবাজার। সূত্রের খবর, প্রতিদিন সকালে ওই রিপোর্ট পাঠাতে হবে থানার আধিকারিককে। যাতে জানাতে হবে, থানা চত্বরে থাকা কোন কোন সিসি ক্যামেরা সচল বা অচল রয়েছে। কন্ট্রোল রুম থেকে সেই রিপোর্ট পাঠানো হবে পুলিশকর্তাদের কাছে। কোনও থানা তাদের সিসি ক্যামেরা খারাপ রয়েছে, এমন জানালে সেই দিনই যাতে তা মেরামত করা যায়, তার ব্যবস্থা করবেন পুলিশকর্তারা।

লালবাজার জানিয়েছে, বর্তমানে সব থানাতেই অন্তত তিনটি করে সিসি ক্যামেরা রয়েছে— থানার সেরেস্তা, লক-আপ এবং ঢোকা-বেরোনোর পথে। এ ছাড়াও ২৪টি থানায় প্রায় ৯৪৫টি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। যাতে থানার সর্বত্র সিসি ক্যামেরার নজরদারি থাকে।

ওই ক্যামেরা দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা সংস্থার তরফে মাঝেমধ্যেই অভিযোগ করা হয়, কিছু দিন পর পরই বিনা কারণে সিসি ক্যামেরা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আবার কোথাও ক্যামেরা বন্ধ করে রেখে দেওয়া হচ্ছে। এক পুলিশকর্তা জানান, থানার সিসি ক্যামেরা সচল রাখতেই প্রতিদিন তা নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। এতে যেমন অচল ক্যামেরা দ্রুত নজরে আসবে, তেমনই ক্যামেরা নিয়ে সচেতন থাকবেন থানার আধিকারিকেরাও।

আমহার্স্ট স্ট্রিট-কাণ্ডের জেরে গত সপ্তাহেই কলকাতা পুলিশের অধীন থানাগুলির সর্বত্র সিসি ক্যামেরার নজরে আনার জন্য নতুন করে নির্দেশ দিয়েছিল লালবাজার। থানার যেখানে পুলিশকর্মী এবং সাধারণ মানুষ চলাফেরা করেন, সেখানে সিসি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এ বার ওই ক্যামেরা বসানোর জন্য থানাপিছু ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে লালবাজার।

অর্থাৎ কেন্দ্রীয় ভাবে নয়, থানার আধিকারিক নিজে থেকেই প্রয়োজন মতো ওই থানা চত্বরে ক্যামেরা বসিয়ে নিতে পারবেন। থানার প্রতিটি এলাকাকে নজরদারির অধীনে আনার বিষয়ে শীর্ষ আদালতের নির্দেশে প্রথম দফায় ২৪টি থানায় সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। কিন্তু অর্থের অভাবে বাকি থানাগুলিতে সেই কাজ অসমাপ্ত ছিল। এ বার সেই কাজ দ্রুত শেষ করা হবে বলে আশা করছেন লালবাজারের কর্তারা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy