—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পুলিশ এবং দমকল হাজির। পরীক্ষা করার জন্য বাজি নিয়ে এসে পড়েছেন বাজি বাজারের প্রতিনিধিরাও। কিন্তু দীর্ঘ অপেক্ষার পরেও টালা পার্কে বৃহস্পতিবার দেখা মিলল না রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ বা ‘ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ (নিরি)-এর কোনও প্রতিনিধির। এই পরিস্থিতিতে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষার পরে এ দিনের মতো বাতিলই হয়ে গেল বাজি পরীক্ষা। যা প্রশ্ন তুলে দিল, আগামী শনিবার থেকে পুলিশের উদ্যোগে শুরু হতে চলা বৈধ বাজি বাজার তা হলে হবে কী করে? সেখানে কি তবে এ বার বিক্রি হবে পরীক্ষা না হওয়া বাজিই? অনেকের প্রশ্ন, এই সুযোগেই যেমন খুশি বাজি বিক্রির রমরমা হবে না তো?
চলতি বছরে বাজির পরীক্ষা করা নিয়ে প্রথম থেকেই টালবাহানা চলছে। অন্যান্য বার পুলিশের উদ্যোগে টালা, কালিকাপুর, বেহালা, শহিদ মিনার ময়দানে বৈধ বাজি বাজার শুরু হওয়ার আগে টালা পার্কে বাজির পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু চলতি বছরে পুলিশের বৈঠকে এই পরীক্ষা না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যুক্তি হিসাবে জানানো হয় যে, গোটা দেশের মতো এ রাজ্যেও যে হেতু বাজির শব্দমাত্রা ১২৫ ডেসিবেলের মধ্যে এবং এ বার শুধু সবুজ বাজিতেই ছাড় রয়েছে, তাই আলাদা করে আর পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। কিন্তু পরিবেশকর্মীরা প্রশ্ন তোলেন, পরীক্ষা না হলে ১২৫ ডেসিবেলের মধ্যে থাকা আর সবুজ বাজিই যে শুধু বিক্রির জন্য আনা হয়েছে, তা বোঝা যাবে কী করে?
এই পরিস্থিতিতে এ দিন টালা পার্কে চারটি বাজি বাজার থেকে ২০টি বাজির নমুনা পরীক্ষার জন্য আনা হয়েছিল। কিন্তু বাজি পরীক্ষা করে দেখার কথা যাঁদের, সেই নিরি বা দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাউকেই সেখানে দেখা যায়নি। এর মধ্যে কয়েক পশলা বৃষ্টি শুরু হয়। ঘূর্ণিঝড় দানার আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে এর পরে পুলিশ বাজি পরীক্ষা এ দিনের মতো বাতিল বলে ঘোষণা করে দেয়।
‘পশ্চিমবঙ্গ বাজি শিল্প উন্নয়ন সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক শুভঙ্কর মান্না বলেন, ‘‘২০টি বাজির নমুনা পুলিশ নিয়ে গিয়েছে। পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।’’ কিন্তু সেই পরীক্ষার রিপোর্ট কবে আসবে? শনিবার থেকেই তো বাজি বাজার বসছে! উত্তর মিলছে না। কেন এ দিন নিরি বা দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কোনও প্রতিনিধিকে দেখা গেল না? কলকাতা পুলিশের দাবি, বার বার যোগাযোগ করা হলেও তাঁদের তরফে উত্তর মেলেনি। কেন? রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্রকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘বৈঠকে ব্যস্ত রয়েছি।’’ এর পরে আর তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। টেক্সট মেসেজেরও উত্তর দেননি। কলকাতায় নিরি-র প্রতিনিধি দীপাঞ্জন মজুমদার বলেন, ‘‘সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলা বারণ আছে। এ ব্যাপারে কিছুই বলতে পারব না।’’
তা হলে বলবেন কে? উত্তর নেই বাজি ব্যবসায়ীদের কাছেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy