গণনাকেন্দ্রে কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের জমায়েত। নিজস্ব চিত্র।
সংখ্যার হিসেবে আসন অর্ধেকেরও বেশি কমেছে। কমেছে ভোট শতাংশও। কিন্তু কলকাতা পুরভোটে কংগ্রেসের ফলকে ‘খারাপ’ বলতে নারাজ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই। তাঁদের মতে, বিধানসভা ভোটে ‘শূন্য’ হয়ে অস্তিত্বের প্রান্তসীমার চলে যাওয়া পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসকে এই ফল সামান্য হলেও ‘অক্সিজেন’ জোগাল। ছোট লালবাড়ির ‘সঙ্কুচিত বিরোধী পরিসরে’ ঠাঁই পাওয়া কিছুটা হলেও স্বস্তি দিল শতাব্দী প্রাচীন দলকে।
এ বারের কলকাতা পুরভোটে ১২১টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়ে ২টিতে জিতেছে কংগ্রেস। ১৬টি ওয়ার্ডে রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। সব মিলিয়ে কংগ্রেস প্রার্থীরা ভোট পেয়েছেন ৪ শতাংশের কিছু বেশি। ২০১৫ সালের পুরভোটে সব ওয়ার্ডে লড়ে তাদের ঝুলিতে এসেছিল ৫টি। প্রায় ৬.৬২ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থীরা।
সাত মাস আগে নীলবাড়ির লড়াইয়ে ‘হাত’ চিহ্নের ফলের সঙ্গে তুলনা করলে অবশ্য পুরভোটে সামান্য অগ্রগতির ছবি ধরা পড়বে। বামেদের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়ে মাত্র ১টি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল কংগ্রেস। সহযোগী বামেরা একটি ওয়ার্ডেও প্রথম স্থান পায়নি। সেই ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে এ বারেও জিতেছে কংগ্রেস। তিন বারের কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠক ফের ছোট লালবাড়িতে প্রবেশাধিকার পেয়েছেন। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৪,৮১৩। তৃণমূল ১,৯৩৬ এবং বিজেপি ১,০৪০ ভোট পেয়েছেন ওই ওয়ার্ডে।
কংগ্রেসের জেতা অন্য ওয়ার্ডটি ১৩৭। খাতায়কলমে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মেটিয়াবুরুজ বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত এই ওয়ার্ডে জিতেছেন ওয়াসিম আনসারি। ২০১৫-র পুরভোটে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে লড়ে নির্দল প্রার্থী রহমত আনসারির কাছে ২২৭ ভোটে হেরেছিলেন তিনি। তৃণমূল এ বার রহমতকেই প্রার্থী করেছিল। কিন্তু তিনি জিততে পারেননি। ওয়াসিম ৬,৬৭০ এবং রহমত ৫,২৯৬ ভোট পেয়েছেন। তৃতীয় স্থানে থাকা বিজেপি প্রার্থীর ঝুলিতে গিয়েছে মাত্র ১৪৯ ভোট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy