—প্রতীকী চিত্র।
শিক্ষা ক্ষেত্র হোক র্যাগিংমুক্ত, এমনটাই চাইছেন এ বছর উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম স্থানাধিকারী শুভ্রাংশু সর্দার। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র শুভ্রাংশু ৪৯৬ নম্বর পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম হন। বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি নিয়ে স্নাতক স্তরে পড়ছেন তিনি।
সম্প্রতি প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে শিরোনামে উঠে এসেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ওই ছাত্র বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষে পড়তেন। মেন হস্টেলে তাঁকে র্যাগিং করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। শুভ্রাংশু অবশ্য হস্টেলে থাকেন না। মহেশতলার সারেঙ্গাবাদের বাড়ি থেকে নিয়মিত যাতায়াত করেন। তাঁকে র্যাগিংয়ের শিকার হতে হয়নি বলেই জানান শুভ্রাংশু। শিক্ষা ক্ষেত্রে র্যাগিং কাম্য নয় বলেই দাবি তাঁর। শুভ্রাংশুর কথায়, “র্যাগিং সংস্কৃতি কখনওই শিক্ষা ক্ষেত্রের অঙ্গ হতে পারে না। শিক্ষা ক্ষেত্র র্যাগিংমুক্ত হওয়া উচিত। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ কড়া হোক।” বাংলা বিভাগের ওই ছাত্রের সঙ্গে আলাপ ছিল না শুভ্রাংশুর। তবে, সহপাঠীর মর্মান্তিক মৃত্যুতে ব্যথিত তিনি। তাঁর কথায়, “দোষীরা যেন শাস্তি পায়।”
এই ঘটনার জেরে সামগ্রিক ভাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ও সুনাম কালিমালিপ্ত হচ্ছে, যা বাঞ্ছনীয় নয় বলেই মনে করেন শুভ্রাংশু। তবে, এই ঘটনার প্রভাব সেখানকার পঠনপাঠনে পড়েনি বলেই জানান তিনি। তিনি বলেন, “নিয়মিত ক্লাস চলছে। পড়াশোনায় কোনও প্রভাব পড়তে দেওয়া হচ্ছে না।”
যাদবপুরের ঘটনায় শঙ্কিত শুভ্রাংশুর অভিভাবকেরা। তাঁর মা শম্পা সর্দারের কথায়, “যা ঘটেছে, তার পরে ছেলেকে নিয়ে একটু চিন্তা তো হচ্ছেই। আর কারও সঙ্গে যেন এমনটা না ঘটে। আমার ছেলে-সহ অন্যেরা নিশ্চিন্তে পড়াশোনাটা করুক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy