সিপিএমের শাখা সম্পাদক ছিলেন সৌমেন কুণ্ডু। ফাইল চিত্র।
হাওড়ায় সিপিএম নেতার অস্বাভাবিক মৃত্যুর দু’দিন পরেও ঘটনার রহস্যভেদ হয়নি। মৃতের পরিবারের তরফেও রেল পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অন্য দিকে, রেল পুলিশ ঘটনাটিকে দুর্ঘটনা বলেই দাবি করছে। তদন্তকারীদের দাবি, কোনও ভাবে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে চ্যাটার্জিহাট এলাকার ছোট ভট্টাচার্য পাড়ার বাসিন্দা, সিপিএমের শাখা সম্পাদক সৌমেন কুণ্ডুর। যদিও সিপিএমের স্থানীয় নেতৃত্ব এই মৃত্যুকে দুর্ঘটনা বলে মানতে রাজি নন। তাঁদের দাবি, সোমবার সন্ধ্যা সাতটার সময়ে ৫৮ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে দেখা গিয়েছিল সৌমেনকে। সিসি ক্যামেরা থেকে সেই ফুটেজ উদ্ধার করুক পুলিশ। পাশাপাশি, যে সাইকেলে করে সৌমেন বেরিয়েছিলেন, সেটিও খুঁজে বার করার দাবি জানিয়েছেন সিপিএম নেতৃত্ব।
গত সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান সৌমেন। এর পর থেকেই তাঁর সন্ধান মিলছিল না। শেষে রাত ২টো নাগাদ পরিবারের লোকজন জানতে পারেন, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সাঁকরাইল ও আবাদা স্টেশনের মাঝে রেললাইনের ধারে সৌমেনের দেহ মিলেছে। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিনই রাত সওয়া আটটা নাগাদ বাড়িতে ফোন করে সৌমেন জানিয়েছিলেন, তিনি কাজে আছেন। ফিরতে কিছুটা দেরি হবে।
এ দিকে, এলাকার বাসিন্দা ও মৃতের ঘনিষ্ঠ সিপিএম কর্মীদের দাবি, ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ সৌমেনকে তাঁর বাড়ির কাছেই ৫৮ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে দেখা গিয়েছে। অনেকেই তাঁকে দেখেছেন। রাস্তার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখলেই তা জানতে পারবে পুলিশ।
বাসিন্দাদের প্রশ্ন, সন্ধ্যা ৭টার সময়ে যাঁকে এলাকায় দেখা গেল, তিনি কী ভাবে অত রাতে সাইকেল নিয়ে ১২-১৪ কিলোমিটার দূরে আবাদায় পৌঁছলেন? দ্বিতীয়ত, সৌমেন কি একা গিয়েছিলেন, না কি তাঁর সঙ্গে আরও কেউ ছিলেন? সিপিএমের আঞ্চলিক কমিটির সদস্য সন্দীপ কোলে বলেন, ‘‘আমরা চাই, হাওড়া সিটি পুলিশ এবং রেল পুলিশ যৌথ ভাবে এই বিষয়গুলি তদন্ত করে দেখুক এবং রাস্তার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করুক। তা হলেই সত্যিটা সামনে আসবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy