প্রতীকী ছবি।
লকডাউনের দিনগুলিতেও রাজ্যের রূপান্তরকামী নরনারীদের অনেকেই পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তা ছাড়া নানা দুর্বিপাকে রূপান্তরকামীদের আশ্রয়হীন হওয়ার ঘটনাও ঘটে থাকে প্রায়ই। এই সমস্যার সমাধানে এ বার এগিয়ে এল রূপান্তরকামী সমাজকর্মীদের একটি মঞ্চ। তাদেরই উদ্যোগে খাস দক্ষিণ কলকাতায় ঘরছাড়া রূপান্তরকামীদের আশ্রয় দিতে একটি আবাস গড়ে উঠছে। বুধবার ‘আস্তানা’ নামে সেই হোমটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হল।
২০১৪ সালের নালসা রায়েই রূপান্তরকামী তথা তৃতীয় লিঙ্গভুক্তদের মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। দু’বছর আগে সমকামী-রূপান্তরকামীদের প্রতি বৈষম্যমূলক ৩৭৭ ধারাও রদ করা হয়েছে। তবু তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের প্রতি সমাজের মানসিকতা পাল্টায়নি। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ২০১৯-এর নথি অনুযায়ী, এ দেশে রূপান্তরকামীদের মধ্যে ৯৮ শতাংশ নিজের পরিবারেই স্বীকৃতি পান না। তাই নিজের মতো করে বাঁচার তাগিদে বাড়ি ছাড়তে হয় তাঁদের। এর পরে কেউ কেউ হিজড়ের খোলে হারিয়ে যান। এ রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনও সম্প্রতি রূপান্তরকামী শিশুদের নিয়ে পারিবারিক টানাপড়েন সামলাতে সমস্যায় পড়েছে। সরকারি স্তরে নানা মহল থেকে রূপান্তরকামীদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে আর্জিও জানানো হয়েছে। কিন্তু লাভ হয়নি।
শহরে রূপান্তরকামীদের জন্য ওই হোম তৈরির উদ্যোক্তাদের এক জন, সমাজকর্মী তথা রূপান্তরকামী নারী রঞ্জিতা সিংহ বলছেন, ‘‘সমাজের নানা স্তরের মানুষ এই উদ্যোগের পাশে দাঁড়িয়েছে। আপাতত জনা দশেকের বেশি অবশ্য থাকতে পারবেন না।’’ সমাজকল্যাণ দফতরের সচিব সঙ্ঘমিত্রা ঘোষ বলছেন, ‘‘রূপান্তরকামী মেয়েদের কিছু ক্ষেত্রে মহিলাদের হোমেও রাখা যায়। সার্বিক ভাবে রূপান্তরকামীদের আশ্রয়ের জন্য কী করা যায়, তা নিয়ে ট্রান্সজেন্ডার উন্নয়ন বোর্ডেও আলোচনা করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy