আরজি কর হাসপাতালে ‘হুমকি সংস্কৃতি’র বিরুদ্ধে তলব চিকিৎসকদের। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
আরজি কর হাসপাতালে ‘হুমকি সংস্কৃতি’তে অভিযুক্ত হয়েছিলেন চিকিৎসক, হাউসস্টাফ, ইন্টার্ন-সহ মোট ৫১ জন। মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া এবং জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছিল। ‘হুমকি সংস্কৃতি’র বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলেন আরজি কর কর্তৃপক্ষ। এ বার সেই তদন্ত কমিটি ডেকে পাঠাল আট জন চিকিৎসককে। তাঁদের বিরুদ্ধে জুনিয়রদের হুমকি দিয়ে হাসপাতালে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করার অভিযোগ রয়েছে।
তদন্ত কমিটির ডাকে শনিবার আরজি করে পৌঁছেছেন আট চিকিৎসক। তাঁরা হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনে হাজিরা দিয়েছেন। ওই ভবনেই রয়েছে অধ্যক্ষ মানসকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরও। জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই আট চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে খবর।
আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে আন্দোলন শুরু হয়েছে। সেই আবহেই হাসপাতালের ‘হুমকি সংস্কৃতি’-র বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। কয়েক জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তার পরেই নড়েচড়ে বসেন কর্তৃপক্ষ। অভিযোগের ভিত্তিতে ৫১ জনকে চিহ্নিত করে তাঁদের হাসপাতালে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানান, যত দিন পর্যন্ত তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত শেষ না হচ্ছে, তত দিন তাঁরা হাসপাতালে প্রবেশ করবেন না। তার পর শনিবার তলব করা হল তাঁদের মধ্যে আট জনকে।
যাঁদের বিরুদ্ধে আরজি করে ভয়ের পরিবেশ তৈরির অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের নামের একটি তালিকাও প্রকাশ করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, ওই চিকিৎসকদের মধ্যে অনেকেই হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ। অভিযোগ, সন্দীপ হাসপাতালে নিজের ‘প্রভাব’ বিস্তার করে নানা ‘দুর্নীতি’, ‘অপকর্ম’ করতেন। তাঁর ঘনিষ্ঠেরা দাপিয়ে বেড়াতেন হাসপাতালে। উত্তরবঙ্গ, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ‘হুমকি সংস্কৃতি’র অভিযোগ ওঠে। প্রকাশ্যে আসে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, অভীক দে-র নাম। তাঁদের আরজি কর-কাণ্ডে তলব করেছে সিবিআইও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy