—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি। Sourced by the ABP
রমজান শেষের ইদে চেষ্টা করেও খোলা মাঠে সমবেত নমাজের আয়োজন করা যায়নি। আজ, বৃহস্পতিবার কুরবানির ইদে সেই আশা পূরণ হতে চলেছে। নিউ টাউনে অ্যাক্সিস মল সংলগ্ন মাঠে এ বার নমাজ পড়ার সুযোগ পেয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই সেখানে নমাজ পড়ার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। ওই তল্লাটে ইদের নমাজের স্থায়ী প্রাঙ্গণের জন্যও প্রশাসনকে আর্জি জানাচ্ছে স্থানীয় নাগরিক সমাজ।
নিউ টাউনের ‘সিটিজেন্স ওয়েলফেয়ার ফ্রেটারনিটি’-র সংখ্যালঘু বিষয়ক কার্যকলাপের আহ্বায়ক সৈয়দ হুমায়ুন সিরাজ বলছেন, “গত ইদে নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (এনকেডিএ) শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কমিউনিটি হলে নমাজ পড়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। পুরুষ, মহিলা মিলে শ’আটেকের ভিড় হয়েছিল। কিন্তু জায়গার অভাবে অনেকেই ভিতরে ঢুকতে পারেননি। সে বার ছেলেরা অনেকে সিঁড়িতে দাঁড়িয়েই নমাজ পড়েন। মেয়েরাও ঘেঁষাঘেঁষি করে নমাজ পড়েন।” এ বার তাই সব দিক ভেবেই খোলা মাঠে নমাজের আয়োজন করা হয়েছে।
ইদের আগে বর্ষা নামায় কলকাতার আবহাওয়া কিছুটা সহনীয় হওয়াতেও স্বস্তি পেয়েছেন অনেকে। তবে সিরাজ জানাচ্ছেন, বৃষ্টির কথা ভেবে নিউ টাউনের মাঠে ত্রিপলের ব্যবস্থা থাকছে। এনকেডিএ-র মাধ্যমে পর্যাপ্ত জলের জোগান এবং পরিবেশবান্ধব শৌচাগারের বন্দোবস্তও হয়েছে। অশক্ত প্রবীণদের কথা ভেবে চেয়ারে বসে নমাজ পড়ার ব্যবস্থা থাকছে। নিউ টাউনে অন্তত হাজার দেড়েক মুসলিমের বাস। তা ছাড়া সল্টলেক বা অন্য এলাকা থেকেও অনেকে নমাজ পড়তে আসেন। এত দিন তাঁদের পার্ক সার্কাস, খিদিরপুর, রাজাবাজারের মতো এলাকায় যেতে হত। কেউ রেড রোডে বা নিউ টাউন লাগোয়া গ্রামের কোনও মসজিদে যেতেন। সেই সঙ্গে মেয়েদের জামাতে নমাজ পড়ার সুযোগও উৎসাহের সঞ্চার করেছে। বিদেশের অনেক মসজিদে পুরুষ এবং মেয়েদের নমাজ পড়ার নির্দিষ্ট জায়গা থাকলেও সেই সুযোগ এ দেশে এখনও কম। কলকাতায় ময়দানে কালীঘাট ক্লাবের মাঠে মেয়েদের নমাজ পড়ার রীতি আছে। সেই সঙ্গে গত রমজান শেষের ইদ থেকে নিউ টাউন এবং মোমিনপুরে হুসেন শাহ পার্কে মেয়েদের নমাজ চালু হয়েছে। বকরি ইদেও সেই ধারা অটুট থাকছে। নিউ টাউনে নমাজের এই আয়োজনের স্বেচ্ছাসেবীরা অনেকেই অমুসলিম। কোরবানি উপলক্ষে অনেকে কিছু না খেয়ে থাকেন। এই নমাজ শেষে সবার জন্য খেজুরযোগে জলপানের ব্যবস্থা থাকছে।
কলকাতায় ইদের কুরবানিতে বিত্তবানেরা কেউ কেউ দুম্বা বা উট উৎসর্গ করছেন। পশ্চিম এশিয়ার রোমশ তাগড়া ভেড়ার বিশেষ কদর ইসলামি ঐতিহ্যে। ফি-ইদে রাজস্থান থেকে এক পাল দুম্বা নিয়ে খিদিরপুরে বকরি মাণ্ডিতে আসেন মহম্মদ সিরাজুদ্দিন। এক লক্ষ ৬০-৭০ হাজারেও তাঁর দুম্বা বিকিয়েছে। শ’দেড়েক দুম্বা বিক্রি করেছেন তিনি। ব্রাইট স্ট্রিটের মহম্মদ ওয়াসিমের মস্ত খাটাল রয়েছে ভাঙড়ে। সেখানে তিনি দু’টি দুম্বা পালন করেছেন। পাম অ্যাভিনিউয়ের পাকিস্তান বাজার থেকে উটও কিনেছেন কুরবানির জন্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy