প্রতীকী ছবি।
আদালতের নির্দেশে দুর্গাপুজোর মণ্ডপ দর্শকশূন্য হতেই ভিড় সামলানোর দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীর সংখ্যা অর্ধেকেরও বেশি কমিয়ে দিল লালবাজার। সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবার, ষষ্ঠীর দিন থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। এ দিন বিভিন্ন বড় পুজোর সামনে এক জন করে ইনস্পেক্টরের অধীনে হাতে গোনা কয়েক জন পুলিশকর্মীকে রাখা হয়েছিল। রাস্তা সামলানোর দায়িত্ব থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে উচ্চপদস্থ কর্তাদের। একসঙ্গে বেশ কয়েকটি বড় পুজোর (পুজো কমপ্লেক্স) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এক জন করে এসি-কে।
শহরের প্রতিটি ছোট মণ্ডপেও যাতে আদালতের নির্দেশ মানা হয়, তার জন্য সেখানে দু’জন করে পুলিশকর্মীকে রাখা হয়েছে। তবে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য মোতায়েন করা ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীদের অবশ্য এ দিনও নির্দিষ্ট জায়গাতেই দেখা গিয়েছে।
লালবাজার জানিয়েছে, এ বছর পুজোর ভিড় সামলাতে তৃতীয়া থেকেই বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু আদালত নির্দেশ দিয়েছে, মণ্ডপের ভিতরে দর্শকেরা কেউ ঢুকতে পারবেন না। নির্দিষ্ট ঘেরাটোপের বাইরে থেকে প্রতিমা দর্শন করতে হবে। এর পরেই চতুর্থী ও পঞ্চমীতে লালবাজারের কর্তারা দেখেন, মণ্ডপের সামনের ভিড় অনেকটাই কমে গিয়েছে। সেই কারণে পুলিশের কাজও কমে যায়। পরে বুধবার রাতে নতুন সূচি তৈরি করে বাহিনীর কলেবর হ্রাস করে দেন কর্তারা।
আরও পড়ুন: ভিড়ের দৌড়ে তবু ক্ষান্ত দিচ্ছেন না পুজোকর্তারা
লালবাজার জানিয়েছে, বাহিনীর প্রায় তিন হাজার সদস্য করোনায় আক্রান্ত। এই অবস্থায় ভিড়ের মধ্যে না পাঠিয়ে পুলিশকর্মীদের বিশ্রাম দিতে চান শীর্ষ কর্তারা। তাই বেশি সংখ্যক কর্মীকে রাস্তায় রাখতে চাইছেন না। প্রবীণ ও প্রাক্তন পুলিশকর্তারা জানাচ্ছেন, পুজোর শহরে এত কম সংখ্যক পুলিশকর্মীকে শেষ কবে নামানো হয়েছিল, তা মনে করতে পারছেন না তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy