করোনার জন্য কার্নিভ্যালের এমন ছবি এ বছর আর দেখা যাবে না।
অতিমারির এই আবহে এ বার পুজো করতে হবে ‘নিউ নর্মাল’-এর যাবতীয় নিয়ম মেনে, মণ্ডপে পর্যাপ্ত পরিমাণ মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার রেখে। দর্শনার্থীদেরও মণ্ডপে আসতে হবে মাস্ক পরে। অন্যান্য বারের মতো এ বারও পুজো দেখা যাবে তৃতীয়া থেকে। কলকাতা পুলিশ ওই দিন থেকেই নিজেদের বাহিনী প্রস্তুত রাখছে। তবে তৃতীয়ার আগের দু’টি দিন শনি ও রবিবার। ফলে ওই দু’দিনও দর্শনার্থীরা পুজো দেখতে বেরোলে পুলিশি ব্যবস্থা কী হবে, তা অবশ্য এখনও পুলিশের তরফে জানানো হয়নি।
শুধু তা-ই নয়, পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান যথাসম্ভব অনলাইনে করতে বলা হয়েছে। পুজো উপলক্ষে করা যাবে না কোনও মেলা বা উৎসবের আয়োজন। এমনকি, এ বার কোনও রকম কার্নিভ্যাল-ও হবে না।
মণ্ডপ থেকে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য সোজা গঙ্গার ঘাটে নিয়ে যেতে হবে। তার জন্য চারটি দিন নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশের তরফে। ২৬ থেকে ২৯ অক্টোবর, এই চার দিন রাখা হয়েছে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য। এ ছাড়া, পুজো মণ্ডপে ঢোকা ও বেরোনোর জন্য খোলামেলা এবং আলাদা রাস্তা রাখতে হবে উদ্যোক্তাদের। বিভিন্ন বড় পুজোর উদ্যোক্তাদের বলা হয়েছে, ভিড়ের কথা মাথায় রেখে মণ্ডপের প্রবেশপথে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে দর্শনার্থীদের জন্য গোল দাগ এঁকে দিতে হবে। দর্শকেরা যাতে সেই অনুযায়ী ভিতরে ঢুকতে পারেন, তার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
যদি কোনও দর্শক মাস্ক ছাড়া আসেন, তা হলে পুজোর উদ্যোক্তাদের তরফেই তাঁকে মাস্ক দিতে হবে। অঞ্জলি দেওয়ার সময়ে পুরোহিতদের মাইক্রোফোন দিতে বলা হয়েছে, যাতে ভিড় এড়িয়ে দূর থেকে মন্ত্র পড়তে পারেন সকলে। একই সঙ্গে সিঁদুরখেলার সময়েও মানতে হবে দূরত্ব-বিধি। তবে নিয়ম শুধু দর্শকদের জন্য নয়, তা মানতে হবে পুজোর উদ্যোক্তাদেরও। সে জন্য অন্যান্য বারের থেকে বেশি সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে বলা হয়েছে পুলিশের তরফে।
এ দিন ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’ও সাংবাদিক বৈঠক করে পুজো কমিটিগুলির উদ্দেশে বলেছে, ‘নো মাস্ক নো এন্ট্রি’র পথে হাঁটতে হবে। ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শাশ্বত বসু বলেন, “মাস্ক থাকাটা বাধ্যতামূলক। সেই সঙ্গে প্রতিটি পুজো কমিটির কাছে অনুরোধ, পুজোর মধ্যে কোনও রকম জলসা করবেন না। প্রয়োজনে পুজো মিটলে বা ডিজিটাল মাধ্যমে জলসা করুন। কারণ, পুজোর সময়ে জলসা হলে এক জায়গায় অনেকে ভিড় করবেন। আমরা এমন ভাবে মণ্ডপ করছি, যাতে কোনও জায়গাতেই মানুষ জড়ো হতে না পারেন।’’
যদিও বৈঠকের পরে প্রশ্ন উঠেছে, পর্যাপ্ত স্যানিটাইজ়ার রাখা মানে তো মণ্ডপের ভিতরে দাহ্য পদার্থ রেখে দেওয়া। সে বিষয়ে কী ভাবছেন পুজোর উদ্যোক্তারা? হাতিবাগানের এক পুজোর উদ্যোক্তা জানাচ্ছেন, তাঁদের একের বেশি প্রবেশপথ থাকছে। সেখানেই স্বেচ্ছাসেবকেরা ফেস শিল্ড পরে হাতে স্যানিটাইজ়ার দেবেন। ফলে মণ্ডপের ভিতরে দাহ্য বস্তু মজুত করতে হবে না। আর ভিড় সামলাতে একটি বড় লাইন ভেঙে ছোট ছোট লাইন করে দেওয়া হবে। তা হলে মণ্ডপে এক জন করে ঢুকতে পারবেন।
তবে এ দিন অনেক পুজো উদ্যোক্তাই জানান, তাঁরা আলোকসজ্জায় দৃষ্টি-আকর্ষণী কিছু করছেন না। ফলে সারা দিনই লোকজন ঠাকুর দেখতে পারবেন। ভিড়টাও সারা দিনে ভাগ হয়ে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy