—প্রতীকী ছবি।
ঘর থেকে এক প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চাঞ্চল্য ছড়াল নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার সুকান্তপল্লিতে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সোমনাথ চক্রবর্তী (৫৫)। তাঁর বাড়ির ভাড়াটে, বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা রুজু করা হয়েছে। শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়েছে প্রকাশ ঘোষ ও তাঁর ছেলে সুদীপ ঘোষকে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সোমনাথ ও তাঁর বোন মীনাক্ষী চক্রবর্তী ওই বাড়িতে থাকতেন। দু’জনেই অবিবাহিত। ওই বাড়িতেই দীর্ঘদিন ধরে সপরিবারে ভাড়া থাকেন প্রকাশ ঘোষ। অভিযোগ, বাড়িওয়ালার উত্তরসূরি কেউ নেই ভেবে প্রকাশ ওই বাড়ি ও জায়গা দখল করার চেষ্টা করছিলেন। এ জন্য বাড়ির মালিক দুই ভাইবোনকে নানা ভাবে হেনস্থা করতেন তাঁরা। এর আগেও প্রকাশের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন মীনাক্ষী। তাঁর দাবি, সোমনাথের মৃত্যুর জন্য দায়ী প্রকাশ ও তাঁর পরিবারই।
ওই দিন দাদাকে একা রেখে বেরিয়েছিলেন মীনাক্ষী। রাতে ফিরে এসে দেখেন, ঘরের দরজা খোলা। ঠেলে ভিতরে ঢুকে দেখেন, দড়ির ফাঁসে ঝুলছে দাদার দেহ। স্থানীয় সূত্রের খবর, দাদাকে ও ভাবে দেখে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মীনাক্ষী। তবে প্রতিবেশীরা তাঁকে ধরে ফেলেন।
প্রকাশ ও তাঁর পরিবারের উপরে ক্ষুব্ধ স্থানীয় মানুষও। অনেকেই জানান, দুই ভাইবোনের উপরে গালিগালাজ, অত্যাচার চালাত ওই পরিবার। ধৃত প্রকাশের স্ত্রী রুবি ঘোষ অত্যাচারের কথা মানতে চাননি। তাঁর দাবি, ভাইবোনের অশান্তির জেরে এই ঘটনা। এখানে আগে ভাড়া থাকলেও বর্তমানে এই জায়গা তাঁরা কিনে নিয়ে বসবাস করছেন বলেও দাবি করেন রুবি। পুলিশ জানিয়েছে, জায়গা কেনার কোনও কাগজপত্র তাঁরা দেখাতে পারেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy