ফাইল চিত্র
করোনায় এ বার আক্রান্ত হলেন বিধাননগরের ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়। সোমবার অনেক রাতে তাঁকে ই এম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সম্প্রতি সল্টলেকের বাসিন্দা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুও আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর আগে বিধাননগর পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুভাষ বসুর করোনায় মৃত্যু হয়েছে। ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্মল দত্ত আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
মঙ্গলবার ডেপুটি মেয়র তাপসবাবু জানান, কয়েক দিন ধরে তাঁর শরীর ভাল ছিল না। সোমবার তাঁর কাঁপুনি দিয়ে জ্বর হয়। এর পরে করোনা পরীক্ষা করলে রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। তার পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুরসভা সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যে বিধাননগর পুর এলাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে চার হাজার ছাড়ালেও সুস্থতার সংখ্যাও দ্রুত হারে বাড়ছে। দৈনিক সংক্রমণের হারও কমছে। তবুও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ জনের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। যা এক সময়ে ১৩০ পর্যন্ত পৌঁছেছিল।
রাজারহাট গোপালপুর এলাকায় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, তাপসবাবু লাগাতার করোনা মোকাবিলায় কাজ করছিলেন। বহু ক্ষেত্রেই তিনি সংক্রমিত এলাকায় ছুটে যাচ্ছিলেন। বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, প্রত্যেক কাউন্সিলর থেকে শুরু করে পুরকর্মী লাগাতার করোনা মোকাবিলায় লড়াই চালাচ্ছেন। তাপসবাবুর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন তিনি।
কিন্তু তার পরেও কি হুঁশ ফিরছে সকলের? পুর কর্তৃপক্ষের অভিযোগ এখনও নাগরিকদের একাংশ মাস্ক পরা, দূরত্ব বজায় রাখা-সহ অনেক নিয়মই মানছেন না।
মেয়র পারিষদ প্রণয় রায় জানান, আগে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা হাজার ছড়িয়েছিল। বর্তমানে তা কমে ৭০০ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘নাগরিকেরা দয়া করে একটু সতর্ক হন। প্রশাসন সমানে চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু নাগরিকদের একাংশের এখনও হুঁশ ফিরছে না। সকলে নিয়ম মেনে চলুন, এটাই আবেদন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy