Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
CID Investigation

সদ্যোজাত বিক্রির তদন্তে ধৃতকে নিয়ে বিহারে সিআইডি

পটনা এবং গয়ার কাছ থেকে শিশুদের কিনে এখানে বিক্রি করত বলে জেরার মুখে মানিক জানালেও, নির্দিষ্ট ভাবে সে কোনও জায়গার নাম বলেনি বলেই সূত্রের দাবি।

কোথা থেকে শিশু কিনে নিয়ে আসত ধৃতেরা, তা জানার জন্য মানিককে নিয়ে বুধবার বিহারে গিয়েছে সিআইডির একটি দল।

কোথা থেকে শিশু কিনে নিয়ে আসত ধৃতেরা, তা জানার জন্য মানিককে নিয়ে বুধবার বিহারে গিয়েছে সিআইডির একটি দল। —প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৪ ০৬:২৩
Share: Save:

বিহারের পটনা এবং গয়ার বিভিন্ন জায়গা থেকে সদ্যোজাতদের কিনে নিয়ে এসে কলকাতা-সহ রাজ্য এবং দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করত শিশু বিক্রিতে সিআইডি-র হাতে ধৃত মানিক হালদার। সিআইডি সূত্রের খবর, মানিক জেরায় জানিয়েছে, গত কয়েক বছরের মধ্যে কিছু দিন অন্তর সে শিশু নিয়ে এসে বিক্রি করেছে। যার মধ্যেকলকাতায় যেমন বিক্রি করা হয়েছে, তেমনই সাঁতরাগাছি ও সোনারপুরেও বিক্রি করা হয়েছে সদ্যোজাতদের। এ ছাড়া দিল্লি, হায়দরাবাদেও ধৃতেরা শিশু বিক্রি করেছে বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন।

পটনা এবং গয়ার কাছ থেকে শিশুদের কিনে এখানে বিক্রি করত বলে জেরার মুখে মানিক জানালেও, নির্দিষ্ট ভাবে সে কোনও জায়গার নাম বলেনি বলেই সূত্রের দাবি। ঠিক কোথা থেকে শিশু কিনে নিয়ে আসত ধৃতেরা, তা জানার জন্য মানিককে নিয়ে বুধবার বিহারে গিয়েছে সিআইডির একটি দল।

শনিবার বিহারের গয়ার কোথা থেকে এবং কার কাছ থেকে শিশু কিনেছিল, তা নিশ্চিত করতে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয় মানিককে। এক তদন্তকারী আধিকারিক জানান, ধৃতের কথায় বেশ কিছু অসঙ্গতি আছে। সে শিশুগুলি কার কাছ থেকে পেয়েছে, সেটিও বলতে চাইছে না। তাই তাকে বিহারে নিয়ে গিয়ে শিশু কেনার স্থান নির্দিষ্ট করা হবে। ওই এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে বিহারের বাকিদের চিহ্নিত করার কাজ করা হবে।

প্রাথমিক তদন্তে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, বিহারের প্রত্যন্ত এলাকায় গজিয়ে ওঠা বেআইনি নার্সিংহোমগুলির সঙ্গে যোগ ছিল ধৃতদের। সেখান থেকে সদ্যোজাতদের কিনে নিয়ে এসে মানিকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হত। এক-একটি শিশু দুই লক্ষ থেকে দশ লক্ষ টাকায় বিক্রি হত। মানিক হাতে অগ্রিম টাকা পেলে বিহারে চলে যেত। সেখানে টাকা দিয়ে শিশুটিকে নিয়ে চলে আসত এ রাজ্যে। শিশুকে হস্তান্তর করার সময়ে বকেয়া টাকা নিত সে।

তবে সিআইডির অন্য একটি সূত্রের দাবি, ধৃতের মোবাইল খতিয়ে দেখে বিহার এবং কলকাতার কয়েক জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের খোঁজ শুরু হয়েছে। তবে নগদে, না কি অনলাইনে শিশু বিক্রির টাকা লেনদেন হত, সেই বিষয়ে সিআইডি কিছু বলতে না চাইলেও ধৃতের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তথ্য মিলেছে বলে সূত্রের দাবি। সিআইডি জানাচ্ছে, বিহারের অভিযুক্তদের খোঁজ মিললেই জানা যাবে, কতগুলি শিশু এখনও পর্যন্ত ধৃতেরা বিক্রি করেছে।

অন্য বিষয়গুলি:

CID Child Trafficking Kidnap
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy