—প্রতীকী চিত্র।
থানার প্রতিটি এলাকাকে ক্যামেরার নজরদারির অধীনে আনার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেই নির্দেশ মতো গত বছর কলকাতা পুলিশের ২৪টি থানায় বসানো হয়েছিল কয়েকশো সিসি ক্যামেরা। কিন্তু অভিযোগ, প্রথম দফার পরে গোটা একটা বছর শেষ হতে চললেও বাকি থানায় আর কোনও সিসি ক্যামেরা বসানোই হয়নি।
লালবাজারের দাবি, কলকাতা পুলিশের বাকি থানাগুলিতে সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য বিপুল অর্থের প্রয়োজন। যার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল নবান্নে। কিন্তু সেই প্রস্তাব আর দিনের আলো দেখেনি। যার ফলে আদালতের নির্দেশ থাকলেও এখনও কলকাতা পুলিশের অধীনস্থ বহু থানাতেই সিসি ক্যামেরার নজরদারি নেই। এই কারণেই আমহার্স্ট স্ট্রিট থানাতেও ঢোকা-বেরোনোর মুখে সিসি ক্যামেরা থাকলেও আধিকারিকদের ঘরে কোনও ক্যামেরার নজরদারি নেই। তাই বুধবার সন্ধ্যায় ওই ঘরে ঠিক কী ঘটেছিল, তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। চোরাই মোবাইল জমা দিতে আসা অশোককুমার সিংহকে ওই ঘরেই পুলিশকর্মীরা মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এমনকি, ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োয় ওই ঘরের ভিতর থেকে অশোককে অচৈতন্য অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে দেখা গেলেও তার আগে সেখানে কী হয়েছে, তার কোনও ছবি নেই পুলিশের কাছে।
লালবাজার সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশের থানাগুলির সেরেস্তা, লক-আপ ও থানায় ঢোকার মুখে তিনটি করে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। থানার আধিকারিকের তরফে ওই সব ক্যামেরায় নজরদারি চালানো হয়। গত বছর যাদবপুর, পর্ণশ্রী, পাটুলি-সহ ২৪টি থানা চত্বর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে সিসি ক্যামেরায় মুড়ে দেওয়া হয়েছে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মতো ওই ২৪টি থানায় ঢোকা ও বেরোনোর পথে, মূল গেটে, লক-আপের ভিতরে ও বাইরে, লবি, করিডর, রিসেপশন, ইনস্পেক্টর বা ওসি এবং সাব-ইনস্পেক্টর ও অফিসারের ঘরে, ডিউটি অফিসারের ঘরে, শৌচাগারের বাইরে, অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের ঘরে ও থানার পিছনে ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, অর্থাভাবের কারণে বাকি থানা চত্বরগুলিতে এ ভাবে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কথা থাকলেও তা হয়নি।
এক পুলিশকর্তা জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে থানার ১৪টি জায়গায় ক্যামেরা বসাতেই হবে। পুলিশের আধুনিকীকরণের তহবিলের টাকা দিয়ে প্রথম দফায় ওই ক্যামেরা বসানোর কাজও হয়েছিল। কিন্তু পরের দুই দফায় ক্যামেরা বসানোর জন্য প্রস্তাব আকারে টাকা চাওয়া হলেও তার ছাড়পত্র মেলেনি। তাই বাকি থানায় সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ আজও অসম্পূর্ণ। পুলিশের একাংশের দাবি, আদালতের নির্দেশ মেনে ওই ক্যামেরা বসানো হলে তাতে যেমন স্পষ্ট ভাবে রাতের ছবি দেখা যাবে, তেমনই কথপোকথনও শোনা যাবে।
তবে বিভিন্ন থানার আধিকারিকদের সূত্রে জানা যাচ্ছে, সরকারি ভাবে তিন জায়গায় ক্যামেরার নজরদারির সঙ্গেই থানার অফিসারেরা নিজেদের খরচে বিভিন্ন জায়গায় ক্যামেরা বসিয়ে নিয়েছেন। যদিও পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, ক্যামেরা বিভিন্ন থানায় বসানো হলেও তার রক্ষণাবেক্ষণ ঠিক ভাবে হয় না। এর জন্য আধিকারিকদেরই দায়ী করছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy