কলকাতা পুলিশের ফোর্থ ব্যাটেলিয়নে সিবিআইয়ের দল। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তের ‘ডেরা’ ছিল কলকাতা পুলিশের ফোর্থ ব্যাটেলিয়নের ব্যারাক। এ বার সেখানেও গেল সিবিআই। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের জন্যই গোয়েন্দারা সল্টলেকের ওই দফতরে গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। সেখানকার আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
আদালতের নির্দেশে আরজি কর-কাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। এখনও পর্যন্ত গ্রেফতারির সংখ্যা এক। যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তিনি কলকাতা পুলিশের অধীনে সিভিক ভলান্টিয়ার হিসাবে কাজ করতেন। সেই সূত্রেই অভিযুক্ত ফোর্থ ব্যাটেলিয়নের ব্যারাকে যেতেন বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। ওই ব্যারাকে নিয়মিত যাতায়াত ছিল তাঁর। অনেকটা সময় সেখানে কাটাতেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার পরে আরজি কর থেকে সেখানেই গিয়েছিলেন অভিযুক্ত। সেখান থেকে রাতে তাঁকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ঘটনার পরে ফোর্থ ব্যাটেলিয়নে যাওয়ার পর অভিযুক্তকে সেখানকার এক কর্মী আরজি করের ঘটনার কথা জানিয়েছিলেন। তা শুনে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আচ্ছা, দেখছি।’’
শনিবার সকালে সিবিআইয়ের একটি দল আরজি কর হাসপাতালে পৌঁছেছে। অন্য একটি দল প্রায় একই সময়ে গিয়েছে সল্টলেকে ফোর্থ ব্যাটেলিয়নের ব্যারাকে। সেখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করার কাজ চলছে। ঘটনার পরে অভিযুক্ত যখন ফোর্থ ব্যাটেলিয়নে পৌঁছন, তখন তাঁর আচরণ কেমন ছিল, তিনি মত্ত অবস্থায় ছিলেন কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শুক্রবার ধৃতকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছিল সেখানে। এ ছাড়া, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে শুক্রবার থেকে সিজিও কমপ্লেক্সের দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। শুক্রবার গভীর রাতে তিনি বাড়ি ফিরেছিলেন। শনিবার সকালে আবার সিজিওতে পৌঁছেছেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, কলকাতা পুলিশের কয়েক জন আধিকারিককেও তলব করতে পারে সিবিআই। যে হেতু, প্রাথমিক ভাবে পুলিশই এই তদন্ত শুরু করেছিল, সেই সংক্রান্ত তথ্য জানার জন্য তাঁদের ডাকা হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy