এ ভাবেই ভেঙে পড়েছে তিনতলা বাড়িটি। —নিজস্ব চিত্র।
ফের নতুন করে বাড়ি ভেঙে পড়ল বৌবাজারের সেকরাপাড়া লেনে। সোমবার সকালে ১৩ নম্বর সেকরাপাড়া লেনের একটি তিনতলা বাড়ি আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। যার ফলে নতুন করে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। তবে বাড়িটা আগেই খালি করে দেওয়া হয়েছিল। তাই এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার সকাল থেকেই বৌবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু করছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। দুর্গাপিটুরি লেনে ইতিমধ্যেই এমন ৫টি বাড়ি চিহ্নিত করা হয়েছে। এক এক করে এই ৫টি বাড়ি ভাঙা হবে বলে জানিয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। বাড়ি ভাঙার জন্য যন্ত্রপাতি নিয়ে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছেন মেট্রো আধিকারিকরা। পুলিশ ও কলকাতা পুরসভার কর্মীরাও রয়েছেন। অন্যান্য বাড়িগুলির কোনও রকম ক্ষতি যাতে না হয়, সে দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে মেট্রো। স্থানীয় কাউন্সিলর সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত জানিয়েছেন, ভাঙার জন্য যে পাঁচটি বাড়ি চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলোর মালিকের অনুমতি মিলেছে। এক এক করে ভাঙার কাজ শুরু হবে।
এক সপ্তাহের বেশি হয়ে গিয়েছে কিন্তু বৌবাজারের আতঙ্ক এখনও কাটেনি। রোজই কোনও না কোনও বাড়ি ভেঙে পড়ছে। বিভিন্ন হোটেলে রয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির সদস্যেরা। তাঁরা সকাল হলেই এলাকায় চলে আসছেন। কেউ বাড়ির দিকে তাকিয়ে রয়েছেন, কেউ জিনিসপত্র বার করে আনার চেষ্টা করছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের আতঙ্কের পাশাপাশি বৌবাজারের সোনার ব্যবসাতেও বেশ মন্দা দেখা দিয়েছে। সোনার দোকানের অধিকাংশ কারিগরও কাজ হারিয়েছেন। কারণ, সোনার দোকানের সেকরারা এই সব এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে ভাড়া থেকে কাজ করতেন। অন্যান্য রাজ্যের কারিগররাও ছিলেন এঁদের মধ্যে। বাড়িছাড়া হওয়ার পর তাই তাঁদের অধিকাংশই কাজ হারিয়েছেন। বৌবাজারে সোনার দোকান খুলছে ঠিকই, কিন্তু খরিদ্দার সে ভাবে নেই। ফলে সোনার ব্যবসাতেও ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: তাপচিত্রে স্পষ্ট নয় কিছু, অপেক্ষা করতেই হবে
যে অবস্থায় রয়েছে ভেঙে পড়া বাড়িটি। —নিজস্ব চিত্র।
ওই এলাকার গোয়েঙ্কা কলেজে অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ঘরছাড়া বাসিন্দাদের অনেকেই কন্ট্রোল রুমে ফোন করে যোগাযোগ রাখছেন। কেউ কেউ আবার তাঁদের অভিযোগও কন্ট্রোল রুমে জানাচ্ছেন। দুর্গাপিতুরি লেন, সেকরাপাড়া লেন, গৌর দে লেনের পাশাপাশি রামকানাই অধিকারি লেন, মদন দত্ত লেন, বাবুরাম শীল লেনের বাসিন্দারাও আতঙ্কিত। রবিবারই এই তিন এলাকার বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখিয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন। যদিও ওই সব এলাকায় ভয়ের কোনও কারণ নেই বলেই জানিয়েছে পুরসভা।
আরও পড়ুন: কোমার চিকিৎসায় মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র! ‘গবেষণা’ দিল্লির লোহিয়া হাসপাতালে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy