বার করে আনা হচ্ছে মনীষার দেহ। শুক্রবার, পূর্ব পঞ্চান্নগ্রামে। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য।
আনন্দপুর থানা এলাকায় এক বধূর দেহ উদ্ধার হল শুক্রবার রাতে। তাঁর মৃত্যু নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে এটি খুনের ঘটনা বলেই জানিয়েছে পুলিশ। খোঁজ চলছে মহিলার স্বামীরও। আনন্দপুর থানা এলাকার পূর্ব পঞ্চান্নগ্রামের একটি বাড়িতে স্বামীর সঙ্গে ভাড়া থাকতেন ওই মহিলা।
পুলিশ জানায়, মৃতার নাম মনীষা বাগ। তাঁর বয়স পঁয়ত্রিশ থেকে চল্লিশের মধ্যে। ঘরের ভিতরে বিছানার উপরে তাঁর দেহ পড়ে ছিল। নাকে ও মুখে লেগে ছিল রক্ত। সেই কারণে মহিলাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তবে, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে মহিলার দেহটি ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ দিন সন্ধ্যা পৌনে সাতটা নাগাদ মহিলার মৃত্যুর খবর জানাজানি হয়। খবর পেয়ে আটটা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। মৃত্যুর খবর জানাজানি হওয়ার পরে পূর্ব পঞ্চান্নগ্রাম এলাকায় রটে যায় যে, মহিলা খুন হয়েছেন। খোঁজ মিলছে না তাঁর স্বামীরও। এর পরে ওই পাড়ায় লোকজনের ভিড় ভেঙে পড়ে। যদিও প্রতিবেশীরা প্রায় সকলেই সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে গিয়েছেন। তাঁরা জানান, ওই মহিলা ও তাঁর স্বামী মাসখানেক আগে ওই বাড়িতে ভাড়া এসেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে কারও কোনও যোগাযোগ ছিল না।
যে বাড়ি থেকে মহিলার দেহ উদ্ধার হয়, তাতে শুধুমাত্র ইটের গাঁথনি দিয়ে দোতলা তোলা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই বাড়ির ভিতরে তিনটি টালির চালের ঘর রয়েছে। সেটিরই একটির ভিতর থেকে মনীষার দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের দাবি, বাড়ির মালিক জানিয়েছেন, এ দিন সন্ধ্যায় মনীষার ঘর অন্ধকার ছিল। দরজা বাইরে থেকে টানা ছিল। দরজায় কোনও তালা ছিল না। ডাকাডাকি করা সত্ত্বেও ঘর থেকে কেউ সাড়া না দেওয়ায় বাড়ির মালিক ঘরে ঢুকে দেখেন, মনীষার দেহ বিছানায় পড়ে রয়েছে। তাঁর নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে। এর পরেই আনন্দপুর থানায় খবর দেওয়া হয়। ও দিন লালবাজারের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারাও ঘটনাস্থলে যান।
পুলিশ সূত্রের খবর, মনীষা ও তাঁর স্বামী রান্নার কাজ করতেন। তবে, নানা কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গোলমাল চলত। পুলিশের দাবি, বাড়ির মালিক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার থেকেই মনীষার স্বামীর খোঁজ মিলছে না। মনীষার শরীরে আঘাতের চিহ্নও মিলেছে। এ দিন রাতে মনীষার দেহ উদ্ধারের পরে তাঁর ঘর থেকে কিছু জিনিসপত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে, সে সব নিয়ে পুলিশ কিছু জানাতে চায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy