বেহাল: পুরনো চেহারায় বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
বর্ষার মধ্যেই যখন দিন কুড়ি আগে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের খানাখন্দ সারাই করা হচ্ছিল তখনই আশপাশের বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলেছিলেন, সারানোর পরে কত দিন টিকবে ওই রাস্তা? বর্ষার মধ্যেই ফের রাস্তার অবস্থা বেহাল হয়ে যাবে না তো?
এলাকাবাসীদের আশঙ্কা সত্যি প্রমাণ করে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের খালাসিকোটা থেকে যশোর রোড পর্যন্ত অংশে ফের বড় বড় গর্ত দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, গত ৭ অগস্ট এক্সপ্রেসওয়ের ওই এলাকাতেই রাস্তা সারাইয়ের কাজ হয়েছিল। বার বার অর্থ ব্যয় করে এমন অস্থায়ী মেরামতির কাজ নিয়ে আপত্তি তুলেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, পাকাপোক্ত ভাবে রাস্তা সারানো হোক।
এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, নতুন করে যে গর্তগুলি হয়েছে, সেখানে কোনও গাড়ির চাকা পড়লে গাড়ি খারাপ হয়ে যেতে পারে। দুর্ঘটনার আশঙ্কাও রয়েছে। সেই সঙ্গে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের ওই অংশের লাগোয়া সার্ভিস রোডের অবস্থাও খুব খারাপ। এলাকার এক বাসিন্দা সমীরবরণ সাহা বলেন, “মূল এক্সপ্রেসওয়ের রাস্তা খারাপ থাকার জন্য বড় গাড়ি সার্ভিস রোডে ঢোকায় সেটিও খারাপ হয়ে গিয়েছে। এর জন্য যানজটও হচ্ছে।”
বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটির প্রজেক্ট ডিরেক্টর স্বপনকুমার মল্লিক বলেন, “বৃহস্পতিবার থেকেই ওই অংশের রাস্তা সারাইয়ের কাজ শুরু হয়ে যাবে। রাস্তা তৈরির প্রধান উপকরণ বিটুমিনাসের শত্রু হল জল। বিটুমিনাসে জল ঢুকলেই রাস্তা ভাঙে। বৃষ্টির জল রাস্তার উপর জমে থাকায় ফের রাস্তা ভাঙছে।” কিন্তু এর স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না কেন? স্বপনবাবুর দাবি, “বর্ষা কেটে গেলে পুজোর আগেই স্থায়ী ভাবে রাস্তা সারানোর কাজ করা হবে। একটি নিকাশি নালাও আমরা মেরামত করব। ওই এলাকার জল রাস্তায় না জমে নিকাশি নালা দিয়ে বেরিয়ে যাবে। ভবিষ্যতে আর রাস্তায় জল জমবে না। রাস্তাও সহজে খারাপ হবে না।” এ ছাড়া, বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের আন্ডারপাসে যে সব খানাখন্দ রয়েছে, সেগুলিও পুজোর আগে স্থায়ী ভাবে মেরামত করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy