Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Child Selling Case

সদ্যোজাত শিশু বিক্রির ঘটনায় ধৃত আরও এক

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা এক নিঃসন্তান দম্পতিকে খুঁজে বার করেন শিখা ও পূর্ণিমা। ওই দম্পতি বাচ্চা কিনতে রাজি হতেই শিশুটির সৎদিদিমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন অভিযুক্তেরা।

An image of Arrest

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৫:২৫
Share: Save:

আনন্দপুরে সদ্যোজাত শিশুকে বিক্রির ঘটনায় আগেই ধৃত চৈতালি চক্রবর্তীর স্বামীকেও এ বার গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম সন্দীপ চক্রবর্তী। নরেন্দ্রপুর এলাকা থেকে তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার পরে জিজ্ঞাসাবাদ করে আনন্দপুর থানার পুলিশ। তাঁর কথায় বেশ কিছু অসঙ্গতি মেলায় শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। ওই ব্যক্তি পেশায় ব্যবসায়ী বলে জানা গিয়েছে।

গত বুধবার রাতে ২৩ দিনের সদ্যোজাত কন্যাকে বিক্রির অভিযোগ নিয়ে আনন্দপুর থানার দ্বারস্থ হন এক তরুণী মা। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সদ্যোজাতের দাদু চুন্নু দাস এবং সৎদিদিমা অলোকা সর্দার ৩০ হাজার টাকায় শিশুটিকে নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা চৈতালি চক্রবর্তীর কাছে বিক্রি করেছেন। ওই কাজে তাঁদের সাহায্য করেছিলেন পূর্ণিমা মণ্ডল এবং শিখা মুখোপাধ্যায় নামে আরও দুই মহিলা। এর পরেই চুন্নু দাস এবং অলোকা সর্দার-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে আনন্দপুর থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবারই ওই পাঁচ জনকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ।

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা এক নিঃসন্তান দম্পতিকে খুঁজে বার করেন শিখা ও পূর্ণিমা। ওই দম্পতি বাচ্চা কিনতে রাজি হতেই শিশুটির সৎদিদিমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন অভিযুক্তেরা। এর পরেই শিশুটিকে নিয়ে তাঁরা নরেন্দ্রপুরে পৌঁছে দেন। গোটা ঘটনার পিছনে কোনও চক্র আছে কি না, বা অভিযুক্তেরা আগেও এ ভাবে সদ্যোজাত শিশু বিক্রি করেছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর পিছনে কেউ আছে কি না, তা-ও দেখা হচ্ছে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE