Advertisement
E-Paper

স্ত্রীর মৃত্যুর চার দিন পরে ‘আত্মহত্যা’ যুবকেরও

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস তিনেক আগে জলপাইগুড়ির বাসিন্দা জয়শ্রী দাসের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সুমনের। আগে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করলেও ইদানীং কোনও কাজ করতেন না সুমন। যা নিয়ে অবসাদে ভুগছিলেন।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:০৫
Share
Save

বাবা-মায়ের বাড়িতে গিয়ে দিন চারেক আগে আত্মহত্যা করেছিলেন স্ত্রী। তাঁর শেষকৃত্য সেরে কলকাতায় ফেরার পর থেকে অবসাদে ভুগছিলেন যুবক। শেষে নিজের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল বেল্টের ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। শনিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে নেতাজিনগর থানা এলাকার খানপুর রোডে। মৃত যুবকের নাম সুমন দাস (৩২)। তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে দ্রুত এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যান পরিজনেরা। সেখানে চিকিৎসকেরা সুমনকে মৃত বলে জানান। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস তিনেক আগে জলপাইগুড়ির বাসিন্দা জয়শ্রী দাসের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সুমনের। আগে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করলেও ইদানীং কোনও কাজ করতেন না সুমন। যা নিয়ে অবসাদে ভুগছিলেন। সপ্তাহ দুয়েক আগে জলপাইগুড়িতে বাবা-মায়ের কাছে গিয়েছিলেন সুমনের স্ত্রী জয়শ্রী। পুলিশ জানিয়েছে, ১৭ সেপ্টেম্বর সেখানে আত্মহত্যা করেন তিনি। পরিবারের দাবি, বিশ্বকর্মা পুজোর পরে জয়শ্রীর কলকাতায় ফেরার কথা ছিল। সেই মতো স্ত্রীকে জলপাইগুড়ি থেকে আনতে গিয়ে তাঁর আত্মহত্যার কথা জানতে পারেন সুমন। শেষকৃত্য সেরে দু’দিন আগে বাড়ি ফেরেন। তার পর থেকে অবসাদ বাড়ে যুবকের। পরিবারের এক আত্মীয় অভিজিৎ গুপ্তের কথায়, ‘‘বেকার হয়ে যাওয়া এবং স্ত্রীর আত্মহত্যা করা নিয়ে অবসাদ বাড়ছিল সুমনের। বাড়ি থেকেও কম বেরোত। তাই বলে যে এমন করবে, ভাবতে পারিনি।’’

জানা গিয়েছে, খানপুর রোডে টালির ছাউনির ঘরে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন সুমন। এ দিন দুপুরে খাওয়াদাওয়া করে নিজের ঘরে চলে যান। ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। দীর্ঘ ক্ষণ দরজা বন্ধ থাকায় বিকেলের দিকে পরিজনেরা ঘরে ঢুকে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। দ্রুত তাঁরা পুলিশে খবর দেন। সুমনকে নামিয়ে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবক আত্মহত্যা করেছেন বলেপ্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। মৃতের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। রবিবার দেহের ময়না তদন্ত করা হয়। এই ঘটনায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

unnatural death Mental Depression Suicide Case

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}