প্রতীকী ছবি।
চোখের উপরে আঘাতের চিহ্ন। ক্ষত দু’হাতের কব্জিতেও। বছর নয়েকের বালককে খেতে না দিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগে পুলিশ তারই এক আত্মীয়কে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ, দড়ি দিয়ে দুটো হাত বেঁধে তাকে শৌচালয়ে আটকে রাখা হয়েছিল। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার লিলুয়ায়। ধৃতের নাম সন্তোষ গিরি।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে ওই বালকটিকে লিলুয়ার কুমারপাড়া লেনে সন্তোষের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে চিকিৎসার জন্য কোনার কাছে জগদীশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। শুক্রবার জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির নির্দেশে তাকে ধূলাগড়ের একটি হোমে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ওই বালকের বাবা পেশায় ট্রাকচালক। তিনি ওড়িশার কেন্দ্রাপড়ার বাসিন্দা। ট্রাক নিয়ে মাঝেমধ্যে কলকাতায় আসেন। পুলিশকে তিনি জানান, বছর ছয়েক আগে তাঁর বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়। তাই ছেলেকে তিনি মামাতো ভাই সন্তোষের বাড়িতে রেখেছিলেন। সেখানকার একটি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ছিল ওই বালক।
লিলুয়া থানা সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে কুমারপাড়া লেনের এক বাসিন্দা থানায় ফোন করে ঘটনার কথা জানান। পুলিশ গিয়ে ওই বালককে উদ্ধার করে। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ছেলেটি অভুক্ত ছিল। দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, ও অপুষ্টির শিকার।’’ পুলিশের দাবি, ওই বালক একটু সুস্থ হলে গোপন জবানবন্দি গ্রহণের ব্যবস্থা করা হবে।
পুলিশ জানায়, সন্তোষ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এলাকার বাসিন্দারা। তবে সন্তোষের স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়নি। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘অভিযুক্ত দম্পতির তিন মেয়ে। মহিলাকেও গ্রেফতার করা হলে মেয়েদের দেখাশোনা করার কেউ থাকত না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ওই দম্পতির দাবি, দুষ্টুমি করত বলেই ছেলেটিকে তাঁরা আটকে রেখেছিলেন। মারধর করা হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy