—প্রতীকী চিত্র।
চার বোন ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন সপ্তমীর রাতে। এ দিক-ও দিক ঘোরার পরে সকলে মিলে রাতে পার্ক স্ট্রিটে যান। অভিযোগ, সেখান থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান এক বোন। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তাঁকে না পেয়ে পরিবার পার্ক স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু সেই ঘটনার পরে প্রায় এক সপ্তাহ পেরোলেও সন্ধান মেলেনি ওই তরুণীর। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে পরিবারের।
পরিবারের সদস্যেরা জানিয়েছেন, বছর কুড়ির নিখোঁজ তরুণীর নাম আঁচল গুপ্ত। শোভাবাজার এলাকায় বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকেন তিনি। স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া ওই তরুণীর এক ছোট ভাই রয়েছেন। বাবা মুড়ির ব্যবসা করেন। পরিবারের সদস্যেরা জানিয়েছেন, গত ১০ অক্টোবর রাতে চার বোন মিলে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে আঁচলও ছিলেন। সে দিন তাঁদের দক্ষিণ কলকাতায় ঠাকুর দেখার কথা ছিল। রাত ১১টা নাগাদ আঁচলের সঙ্গীদের এক জন তাঁর বাড়িতে ফোন করে জানান, আঁচলকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আঁচলের মা ঊষা গুপ্ত বুধবার বলেন, ‘‘ফোনে আমাদের জানানো হয়, ওরা সকলে মিলে পার্ক স্ট্রিটের একটি রেস্তরাঁয় গিয়েছিল। রেস্তরাঁয় ঢোকার লাইনে সকলে দাঁড়িয়ে ছিল। খানিক পরে বাকি তিন জন রেস্তরাঁয় ঢুকলেও আঁচলকে আর পাওয়া যায়নি।’’ ঘটনার রাতেই পার্ক স্ট্রিট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তরুণীর পরিজনেরা। পরে তাঁরা লালবাজারেরও দ্বারস্থ হন। কিন্তু এক সপ্তাহ পেরোতে চললেও আঁচলের কোনও হদিস মেলেনি।
ওই তরুণীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় প্রতিবেশী এক যুবকের হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ তাঁর পরিবারের। তরুণীর এক আত্মীয়া ঝর্না চট্টোপাধ্যায় জানান, ওই যুবক আঁচলকে মাঝেমধ্যেই বিরক্ত করতেন। পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই যুবককে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগ ওই যুবক অস্বীকার করেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
তদন্তকারী এক আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে পরিবারের সদস্যেরা জানিয়েছিলেন, ওই তরুণী মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না। তবে, রেস্তরাঁর সামনে লাগানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ওই তরুণী ব্যাগ থেকে একটি ছোট ফোন বার করে কথা বলছেন। তার পরেই ফোন রেখে তিনি কোথাও চলে যান।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy