—প্রতীকী চিত্র।
দুর্গাপুজোয় দাবি মতো চাঁদা না দেওয়ায় তৃণমূলের এক কর্মীর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করলেন এক জলের ব্যবসায়ী। অভিযোগ, গত ১৩ অক্টোবর ওই ঘটনা ঘটে দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ সুভাষনগরে। সৌমেন বর্মণ নামে ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সৌরভ আইচ ওরফে বাবুলাল নামে এক যুবক তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে মারধর করেছেন। দমদম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে ব্যারাকপুর কমিশনারেট। যদিও অভিযুক্তের দাবি, তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে।
সৌমেন জানান, ঘটনার রাতের আগে তিনি গরুহাটা এলাকার একটি পুজোয় খাওয়াদাওয়ার জন্য ১৮ কার্টন জল এবং বেশ কয়েকটি জলের ড্রাম পাঠিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘বাবুলাল বলেছিলেন, ৩৫০ লোকের জন্য জল দিতে হবে। আমি অতটা দিতে পারিনি। ওর জন্য খেসারত দিতে হতে পারে, তা আন্দাজ করেছিলাম। কারণ একটি ভয়েস মেসেজে উনি তির্যক ভাবে জানিয়েছিলেন, আমায় ফুল-মালা দিয়ে বরণ করবেন।’’
সৌমেন জানান, ঘটনার রাতে তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতাকে ফোন করে বাবুলাল কটু মন্তব্য করেন। সঙ্গীতার কথায়, ‘‘বাবুলাল ফোনে বলেন, স্বামী চিটিংবাজি করেছেন। চাঁদা, জল কিছুই দেননি। আমার স্বামী শুনে বাবুলালকে ফোন করেন। খানিক বাদেই বাবুলাল বাড়ির দরজায় হাজির হন। প্রথমে স্বামীর ফোনটি কেড়ে নিয়েছিলেন। সেটা কোনও ভাবে ওঁর থেকে নিয়ে ঘরে রাখতে যাই। তত ক্ষণে উনি স্বামীকে মারধর করা শুরু করে দেন।’’
আরও অভিযোগ, সৌমেনকে বাঁচাতে গেলে সঙ্গীতা ও তাঁদের বিশেষ ভাবে সক্ষম মেয়েকেও মারধর করেন বাবুলাল। তিনি মত্ত ছিলেন বলেও অভিযোগ। সৌমেন বলেন, ‘‘ওই রাতে বাবুলাল দাবি করেন, ১০০ কার্টন জল আর ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। আমি প্রতিবাদ করি। বাবুলাল আমার যৌনাঙ্গে লাথি মারেন।’’
বাবুলালের পাল্টা দাবি, সৌমেন মাঝেমধ্যেই মত্ত অবস্থায় স্ত্রীকে মারধর করেন। তিনি বলেন, ‘‘ওই রাতেও রাস্তায় সৌমেন স্ত্রীকে মারধর করছিলেন। সঙ্গীতা আমায় ফোনে ডেকেছিলেন। আমি ঠেকাতে গেলে সৌমেন আমাকেই মারধর করেন।’’
তা হলে সঙ্গীতা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন কেন? বাবুলালের দাবি, ‘‘সেটা আমি জানি না। এখানে যে খুনের ঘটনা ঘটেছিল, আমি তার বিরুদ্ধে জনমত সংগঠিত করছিলাম। তাই সৌমেনদের সামনে রেখে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে দুষ্কৃতীরা। আমি এখানে তৃণমূল করি। সৌমেন পাড়ার লোক বলে আমি পুলিশে অভিযোগ করিনি।’’ উল্লেখ্য, বছরখানেক আগে দক্ষিণ সুভাষনগরে এক যুবকের খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানে তৃণমূলের সংগঠন খানিকটা নেতৃত্বহীন অবস্থায় চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy